ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বন্ধ করে দিচ্ছে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন। আগামী বছর নিজেদের এজ ব্রাউজার নিয়ে বাজারে শীর্ষস্থানে থাকা ক্রোম ব্রাউজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামবে প্রতিষ্ঠানটি।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বাজারে আসে ১৯৯৫ সালে। প্রায় এক দশক আধিপত্য বিস্তারী ব্রাউজারের জায়গাটি ধরে রেখেছিল এটি। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের বান্ডলের সঙ্গেই আসতো ব্রাউজারটি। বিশ্বব্যাপী শত শত কোটি কম্পিউটারে প্রি-ইনস্টলড ছিল এটি।
পরে ২০০০ এর দশকের শেষ দিকে গুগল ক্রোমের কাছে হারতে শুরু করে এ ব্রাউজার। তুলনামূলক ধীরগতির জন্য মিম দুনিয়াতেও বহু মিমের জন্ম দিয়েছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার।
প্রতিযোগিতায় আরও ভালো করতে ২০১৫ সালে এজ ব্রাউজার নিয়ে আসে মাইক্রোসফট। গুগল ব্রাউজারের মতো একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় এতে।
২৫ বছর ব্যবহারের পর বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। ২০২২ সালের ১৫ জুন থেকে ওয়েব ব্রাউজারটি সাধারণ ব্যবহারকারীরা আর ব্যবহার করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।
‘সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ওয়েব ব্রাউজার হলো ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, তবে অন্য ব্রাউজার ডাউনলোড করার জন্য।’ এমন একটি কৌতুক একসময় প্রায়ই দেখা যেত। অর্থাৎ ক্রোম-ফায়ারফক্স নামানো ছাড়া ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আর কোনো কাজ নেই। সে কথা একদম মিথ্যা নয়। ওয়েব অ্যানালেটিক্স প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটকাউন্টারের তথ্য অনুসারে, এপ্রিলে ক্রোম বৈশ্বিক ব্রাউজার বাজারের ৬৫ শতাংশ দখলে রেখেছে, অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডের সাফারির দখলে ছিল ১৮ শতাংশ, এজ ব্রাউজার দখলে রেথেছে তিন শতাংশ।
মাইক্রোসফট এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, “উইন্ডোজ ১০ এর সুনির্দিষ্ট কিছু সংস্করণে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১১ ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করে দেওয়া হবে, আগামী বছরের ১৫ জুন থেকে আর মিলবে না সমর্থন।”
দুই দশক আগে মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে হওয়া এক অ্যান্টিট্রাস্ট মামলার মূলে ছিল ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। পরে এক মার্কিন বিচারক রায় দেন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারকে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে নিয়ম ভেঙেছে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট। তারপরও ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ও উইন্ডোজকে আলাদা করেনি প্রতিষ্ঠানটি।