বাংলাদেশের ‘ফোর টিয়ার’ জাতীয় ডেটা সেন্টারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি ওরাকলের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্লাউড সেবা কেনার প্রস্তাব সরকারের নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়।
ডেটা সেন্টারের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি বেছে নেওয়ার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অর্থ সাশ্রয়, তথ্যের নিরাপত্তা ও জরুরি সময়ের মধ্যে ডেটা সেন্টারের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ওরাকল থেকে এ সেবা কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
“আমাদের ক্লাউড সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধি করাটা ‘ইমিডিয়েটলি’ দরকার। ই-নথি, সুরক্ষা প্লাটফর্ম, ভার্চুয়াল কোর্ট, এনবিআর, ইলেকশন কমিশন থেকে শুরু করে বেশ কিছু বড় বড় সিস্টেম আমাদেরকে এখন হোস্ট করতে হচ্ছে। ক্লাউড ক্যাপাসিটি দ্রুত বৃদ্ধি না করলে এই কার্যক্রমগুলো বাধাগ্রস্ত হবে।“
২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত টিয়ার থ্রি মানের জাতীয় ডেটা সেন্টারটি এখন ২৪ ঘণ্টা তিন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে- অবকাঠামো, প্লাটফর্ম ও সফ্টওয়ার।
ওরাকলকে বেছে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, ভূমিসহ সরকারের ১৪৫টি এজেন্সি যারা ডেটাবেইজগুলো ম্যানেজ করে তারা ওরাকলের এসকিউএল ডেটাবেজ সিস্টেম ব্যববহার করে। প্রতিবছর সার্ভিস চার্জ, লাইসেন্স ফি বাবদ প্রায় ৪৫ মিলিয়ন ডলার তাদেরকে দিতে হয়।
“কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে এই ডেটা সেন্টার হচ্ছে। ফলে আমাদের দেশের ভূখণ্ডের মধ্যেই তথ্যগুলো থাকবে। তাতে ওই ৪৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ সাশ্রয় হবে।”
আগামী চার বছরের মধ্যে জাতীয় ডেটা সেন্টার ‘ব্রেক ইভেনে’ (আয়-ব্যয় সমান) চলে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।