ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার-এর সাথে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধিদল আজ মঙ্গলবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সাক্ষাৎ করেছেন। বিশ্বব্যাংকের অবকাঠামো বিষয়ক দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক পরিচালক গুয়াংঝি চেন (Guangzhe Chen)প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন এবং বিটিআরসি‘র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এসময় উপস্থিত ছিলেন। বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলে অপর সদস্যরা হলেন, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডাইরেক্টর ডানডান চেন, বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তা রাজেস রোহাতগি ।
সাক্ষাৎকালে তারা টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়ন বিশেষ করে, ফাইভজি –অবকাঠামো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক সাপোর্ট এবং সাইবার নিরাপত্তা শক্তিশালী করণ বিষয়ে মত বিনিময় করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল সংযোগ সম্প্রসারণসহ সরকারের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছে দিতে গৃহীত কর্মসূচি ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ অংশ গ্রহণ না করেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অংশ গ্রহণে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। দুর্গম এলাকাসহ দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের কাছে ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা আমাদের অব্যাহত আছে। সরকার এখাতের প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ তৈরির জন্য নীতিমালাসহ গাইড লাইন প্রণয়ন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বেঠকে কোভিড-১৯ অতিমারিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভূমিকা, বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড সংযোগের বর্তমান চিত্র, টেলিকম খাতের বর্তমান চ্যালেঞ্জসমূহ, চ্যালেঞ্জসমূহ অতিক্রম করতে করণীয় ইত্যাদি প্রতিনিধিদলকে অবহিত করা হয়।
বিটিআরসি‘র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার নাসিম পারভেজ টেলিকমখাতের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ দূর করতে চারটি সুপারিশ বেঠকে উপস্থাপন করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রতিষ্ঠা, ন্যাশনাল সাইবার থ্রেট এনালাইসিস, ডিটেকশন এন্ড প্রিভেনশন সেন্টার বিটিআরসি‘র মাধ্যমে বাস্তবায়ন প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। এছাড়া টেলিটকের ৫জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং বিটিসিসিএল –এর মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যস্ততম এলাকায় ওয়াইফাই জোন সম্প্রসারণ প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উপস্থাপনায় উঠে আসে।
বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল সংযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। তারা ডিজিটাল প্রযুক্তি ও সংযোগ সম্প্রসারণের ফলে বিদ্যমান সাইবার হুমকি মোকাবেলায় সাইবার নিরাপত্তা এবং নিম্নগতির ইন্টারনেট উচ্চগতিতে রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা এসব বিষয়ে আরও আলোচনা করবেন বলে জানান।
মন্ত্রী সরকার ও বিশ্বব্যাংকের কৌশলগত আলোচনা ভবিষ্যত সহযোগিতার জন্য ফলপসূ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন এবং প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানান।