বিশ্বের মোট ৩০টি দেশের মতো বাংলাদেশেও শুরু হলো ফ্লাইং ল্যাবস এর কার্যক্রম।আজ ২৯ জানুয়ারি ২০২১ তারিখ সকালে ড্রোণের মাধ্যমে ফেস্টুন ও বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।
বাংলাদেশ ফ্লাইং ল্যাবস এর কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন ভবন সংলগ্ন প্রাঙ্গণে ৭ থেকে ১৫ বছরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রথম ড্রোন উড্ডয়ন বিষয়ক অভিজ্ঞতা অর্জনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।এ অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোররা হাতে-কলমে ড্রোন উড্ডয়নের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এবং তারা নিজেরাই ড্রোন উড়িয়ে উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করেন।
এ সময় বাংলাদেশ ফ্লাইং ল্যাবস এর পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, বাংলাদেশ ফ্লাইং ল্যাবস এর উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক জনাব মুনির হাসান, বাংলাদেশ ফ্লাইং ল্যাবস এর কারিগরী উপদেষ্টা ও কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী জনাব মমলুক সাবির আহমেদ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সেঁজুতি রহমান, মাই আউটসোর্সিং লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব মোঃ তানজিরুল বাসার, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মাহতাবুল হক, গ্রামীণ ফোনের চীফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার জনাব সৈয়দ তানভীর হুসেইন, রবির ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব গাজী এমরান আল-আমিন, সিবিটি বাংলাদেশ এর পরিচালক বোরহান উদ্দিন,ড্রোন বাংলাদেশ এর সিইও মোঃ কামরান হাসান সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।এ অনুষ্ঠানে ড্রোন পার্টনার হিসেবে ছিল “ড্রোন বাংলাদেশ” নামক প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক রোবটিক্স ও ড্রোন বিষয়ক প্রতিষ্ঠান উইরোবটিক্স এর তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ফ্লাইং ল্যাবস পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক।উইরোবটিক্স এর তত্ত্বাবধানে বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশে ফ্লাইং ল্যাবস এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।রোবটিক্স ও ড্রোন বিষয়ক গবেষণা ও উদ্ভাবন নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি মূলত কাজ করে।বাংলাদেশ ফ্লাইং ল্যাবস এর সাথে আরো যুক্ত আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং IEEE রোবটিক্স এন্ড অটোমেশন সোসাইটি ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ চ্যাপ্টার।
বাংলাদেশ ফ্লাইং ল্যাবস রোবটিক্স এবং উদীয়মান প্রযুক্তি শেখার জন্য সারা দেশের প্রযুক্তিপ্রেমীদের একটি সামাজিক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।এখানে কিশোর এবং তরুণদের রোবোটিকস,ড্রোন,আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিংয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হবে।বিশ্বের অন্যান্য ফ্লাইং ল্যাবসগুলির সাথে মিলে বাংলাদেশ ফ্লাইং ল্যাবস জনগণ,স্বাস্থ্যসেবা,কৃষি ও পরিবেশকে প্রভাবিত করে এমন স্থানীয় সমস্যার সমাধান খুঁজতে ড্রোন ভিত্তিক গবেষণার কাজও করবে; যা প্রত্যক্ষভাবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায় ভূমিকা রাখবে।