ঢাকা | রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ |
১৮ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর চক্করে অ্যাকাউন্ট থেকে হারাতে হল ২.১৭ লক্ষ টাকা, প্রতারণার শিকার ট্যাক্সি ড্রাইভার

যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর চক্করে অ্যাকাউন্ট থেকে হারাতে হল ২.১৭ লক্ষ টাকা, প্রতারণার শিকার ট্যাক্সি ড্রাইভার
যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর চক্করে অ্যাকাউন্ট থেকে হারাতে হল ২.১৭ লক্ষ টাকা, প্রতারণার শিকার ট্যাক্সি ড্রাইভার

সাইবার ক্রাইম যত দিন যাচ্ছে, নানা রকম অকল্পনীয় ভাবে সংঘটিত হয়েই চলেছে দেশে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ব্যাপারে হাতিয়ার করা হয় আমাদের বিনা পরিশ্রমে অনেক টাকা পেয়ে যাওয়ার লোভকে। এবার সেই লোভের ফাঁদেই পা রাখলেন বেঙ্গালুরুর এক ট্যাক্সি ড্রাইভার। তবে তাঁর ক্ষেত্রে যে ভাবে প্রতারণার ফাঁদটি তৈরি করেছিল অপরাধীরা, তা সাইবার ক্রাইম বিভাগকে বেশ বিস্মিত করেছে।

জানা গিয়েছে যে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য বেঙ্গালুরুর বেলান্দর এলাকার এই ট্যাক্সি ড্রাইভার অনলাইনে কামসূত্র সেক্স গোল্ড মেডিসিন কিনেছিলেন। এর পরে তাঁর কাছে অপরিচিত এক নম্বর থেকে ফোন আসে। তাঁকে জানানো হয় যে কামসূত্রর ওই ওষুধ কেনার সূত্র ধরে তিনি বিপুল অঙ্কের এক গিফ্ট হ্যাম্পার জিতেছেন। শুধু ফোন করেই এক্ষেত্রে ক্ষান্ত থাকেনি অপরাধীরা। ওই ট্যাক্সি ড্রাইভার পুলিশকে জানিয়েছেন যে ওই এক অফার উল্লেখ করা দু'টি আলাদা মেসেজও তিনি পেয়েছিলেন দুই আলাদা আলাদা মোবাইল নম্বর থেকে। বার বার নানা সূত্র ধরে এভাবে তাঁর কাছে খবর আসতে থাকায় তাঁর মনে কোনও রকম সন্দেহ জন্ম নেয়নি।

ফলে অপরাধীরা যখন তাঁকে বলে যে এই গিফ্ট হ্যাম্পারের টাকার অঙ্কটা জেতার জন্য তাঁকে কেবল খুব সামান্য অঙ্কের একটা ট্যাক্স দিতে হবে, তিনি দ্বিধা না করে রাজি হয়ে যান। টাকার লোভে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি আর্থিক লেনদেন করেন। এবং অবাক হয়ে দেখেন যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বেরিয়ে গিয়েছে মোট ২.১৭ লক্ষ টাকা। এর পর এই ট্যাক্সি ড্রাইভারের চৈতন্য হয়, বুঝতে পারেন যে তিনি সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছেন। দেরি না করে তিনি ঘটনাটি জানান পুলিশকে, হোয়াইটফিল্ড সিইএন পুলিশ স্টেশনে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে যে তারা এখনও অপরাধীদের ধরে উঠতে পারেনি, আপাতত ঘটনাটির তদন্ত চলছে।

এর আগে ২০১৯ সালে একই ভাবে বেঙ্গালুরুতেই সাইবার প্রতারণার শিকার হন আইটি বিভাগের এক কর্মী। কোরমঙ্গলা এলাকার এন ভি শেখ নামে ওই ব্যক্তি ডিসেম্বর মাস নাগাদ অনলাইনে পিৎজার অর্ডার দিয়েছিলেন। সেই মতো তিনি অগ্রিম দামটাও মিটিয়ে দেন। কিন্তু তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে খোওয়া গিয়েছিল ৯৫ হাজার টাকা।

প্রতারণা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend