দেশে দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ভাইরাসটির মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর রোগীদের চিকিৎসায় হটলাইন নম্বর চালু করেছে। যে নম্বরে ফোন দিয়ে যেকোনো রোগী টেলিমেডিসিন সেবা পেতে পারেন। তবে এই হটলাইন নম্বর খুঁজতে কেউ যদি গুগলে ‘স্বাস্থ্য অধিদফতর হটলাইন নম্বর’ লিখে সার্চ দেন, তাহলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটের মেটা ডেসক্রিপশনে বিভিন্ন পর্ন সাইটের ঠিকানা দেখাচ্ছে। বিষয়টিকে অনেকেই লজ্জাজনক হিসেবেই দেখছেন।
দেশের এই দুর্যোগ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই অধিদফতরটির এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। আহমেদ জারিফ নামের এক চিকিৎসক লিখেছেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে গুগল সার্চে এমন আসছে। অনলাইনের যুগে সবাই অনলাইনে সার্চ করে। ওয়েব ডেভেলপমেন্টের অতি ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারছি, এটা সাইট ডেভেলপারদেরই কাজ অথবা সাইট হ্যাকড। বেশ লজ্জা পেয়েছি। দয়া করে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।’
রাশেদুজ্জামান জয় নামের একজন লিখেছেন, ‘এই সাইট কেউ হ্যাক করেনি। এই Invisible Header সম্পর্কে ডেভেলপার নিজেই সব চেয়ে ভালো বলতে পারবে, I guess. স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সার্কাস আর শেষ হইলো না!’
তামিম ইসলাম নামের আরেক চিকিৎসক লিখেছেন, ‘আমি ভাবছিলাম ছবিটা এডিট করা! পরে সার্চ দিয়ে এই অবস্থাই। বিষয়টি খুবই প্যাথেটিক।’ আবিদুর রহমান নামের একজন লিখেছেন, ‘Header-এ add করে invisible করে দিয়েছে। ইচ্ছা করে করা কাজ।’
সোমবার (২৬ জুলাই) বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা এই ওয়েবসাইটের পেছনে খরচ হলেও এটি নিয়ে আমাদেরও অসংখ্য অভিযোগ আছে। নিয়মিতভাবে এটিকে আপডেট করা হয় না। ডিজাইনটাও মনে হয় অনেক পুরনো আমলের। সব মিলিয়ে ব্যাপারটা হতাশাজনক।’
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশিদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি বিষয়টি নিয়ে এমআইএসের (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) সঙ্গে কথা বলছি। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে।