ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ |
৩১ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ২৮ ই-কমার্স কোম্পানির নাম

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ২৮ ই-কমার্স কোম্পানির নাম
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ২৮ ই-কমার্স কোম্পানির নাম

দেশের তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা আলাদা আলাদা ভাবে বেশকয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। তবে মোট কতটি প্রতিষ্ঠান কালো তালিকাভুক্ত তা এককভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ একটি গোয়েন্দা সংস্থা ১৯টি, আরেকটি ১৭টি এবং আরেকটি ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। একই কোম্পানির নাম একাধিক তালিকায় রয়েছে। তবে একটি ধারণা পাওয়া গেছে তিন গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায় কমপক্ষে ২৮টি কোম্পানির নাম রয়েছে।

সোমবার ই-কমার্স নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত ১৫ সদস্যের কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তিনি এই কমিটির প্রধান। তিনি জানান, সময়মত পণ্য ও রিফান্ড না দেওয়ার মতো গ্রাহক হয়রানি, ব্যাপক ডিসকাউন্টে পণ্য বিক্রি, ক্রেতার টাকা অন্য খাতে বিনিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ থাকায় কোম্পানিগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এসব কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে সংস্থাগুলো। তার পরিপ্রেক্ষিতে এসব ই-কমার্স কোম্পানির ব্যাংক হিসাবের খোঁজ খবর নিতে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটকে(বিএফআইইউ) অনুরোধ জানানো হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব কোম্পানির লেনদেনের হিসাব জানাতে বলা হয়েছে বিএফআইইউকে।

সফিকুজ্জামান বলেন, ‘তিনটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে আলাদা আলাদা তালিকা পেয়েছে কমিটি। একটি তালিকায় ১৯টি, আরেকটিতে ১৭টি এবং অন্যটিতে ১৩টি কোম্পানির নাম রয়েছে। তবে সর্বোচ্চ সংখ্যাটি ১৯ এর চেয়েও বেশি। কারণ ১৭ ও ১৯টি প্রতিষ্ঠানের তালিকার মধ্যে কমন রয়েছে আটটি।’

৯ নভেম্বর কমিটির আরেকটি বৈঠক হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেই মিটিংয়ে এই তালিকার কোম্পানিগুলোর আর্থিক লেনদেনের হিসাব উত্থাপন করা হবে। মিটিংয়ে তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে উত্থাপন করা হবে।’ বৈঠকে ইউনিক বিজনেস আইডিন্টিফিকেশন (ইউবিআইডি) ও এসক্রো সার্ভিস নিয়েও আলোচনা হয়েছে। খুব দ্রুতই ইউনিক বিজনেস আইডি চালু করা হবে। এজন্য এটুআই (এসপায়ার টু ইনোভেট) কাজ করছে। যারা ই-কমার্সে বিজনেস করবে, তাদেরকে বাধ্যতামূলক নিবন্ধন নিতে হবে। কাজটি হবে অনলাইনে। প্রক্রিয়াটিকে খুব সহজ করা হচ্ছে। যাতে করে ইউনিক বিজনেস আইডি চালু করতে গিয়ে কোনো ব্যবসা মুখ থুবড়ে না পড়ে। এছাড়া এসক্রো সার্ভিস অটোমেশনের জন্য একটা অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে।

-কমার্স,গোয়েন্দা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend