বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এক গ্রাহক তিন তারকা শিল্পীর নামে প্রতারণার মামলা করেছেন। তাদেরই একজন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। গেলো ৪ ডিসেম্বর মামলা হলেও এ বিষয়ে নাকি কিছুই জানতেন না। আজই খবর দেখে বিষয়টি জানতে পেরেছেন তিনি।
মিথিলা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) সকালে ঘুম থেকে উঠে কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে দেখলাম, নয়জনের নামে মামলা হয়েছে। সেই তালিকায় আছি আমিও। বেশ কয়েকজন কাছের মানুষ ও সাংবাদিকের ফোন পেয়েছি। তাদের কাছ থেকেই বিস্তারিত জানলাম।’
তিনি আরও বলেন, 'যতটুকু জানি, মামলা হলে লিগ্যাল নোটিশ আসে। এখনো নোটিশ আসেনি। এমনকি প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল, কেউ বলেনি ঘটনাটা। তাহলে মানুষ জানবে কীভাবে যে তার নামে মামলা হয়েছে? আমি আসলে বুঝতে পারছি না কী বলব, কী করব।'
এদিকে আরেকটি বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গে মুঠোফোনে আলাপকালে মিথিলা বলেন, 'যিনি মামলা করেছেন তার মতো আমিও ভুক্তভোগী। আমরা একইভাবে প্রতারিত। আমি কোম্পানির এই অবস্থার কথা কিছুই জানতাম না। এক মাসের জন্য কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আমি মানুষকে দোষ দেই না, আমি সমব্যাথি।'
এর আগেও বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের পণ্যদূত হিসেবে কাজ করেছিলেন মিথিলা। সম্প্রতি সামাজিক সচেতনতামূলক একটি সংগঠনের জন্য গার্হস্থ্য সহিংসতাবিরোধী প্রচারণায়ও অংশ নিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক এ মামলা করেন। তিনি জানান, ইভ্যালির চিফ গুডনেস অফিসার- সঙ্গীত শিল্পী তাহসান, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা-সোশ্যাল মিডিয়া তারকা আরিফ আর হোসাইন, প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলাকে দেখে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আস্থা পান তিনি। অর্ডার দেন ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকার বাইকের। তবে অনেক চেষ্টা করে সাত মাসেও পণ্য পাননি। তাই বাধ্য হয়ে মামলা করেছেন।
এ মামলার এক নম্বর আসামি ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলকে। প্রতারণা ও অর্থ-আত্মসাতের মামলায় দুজনেই কারাগারে রয়েছেন।