ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল অর্থ পাচার করেছেন বলে ধারণা করছেন হাইকোর্ট নির্দেশিত বোর্ডের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে ধানমন্ডির ইভ্যালি প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন শঙ্কার কথা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ইভ্যালির যত কাগজ আমরা পর্যালোচনা করেছি, আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে বিদেশে অর্থ পাচার হয়ে থাকতে পারে। তবে এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তদন্ত করছে। পরে নিশ্চিত হয়ে জানা যাবে।
সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক আরও জানান, ‘আমরা জানতে পেরেছি তিনি (মোহাম্মদ রাসেল) ও তার স্ত্রী প্রতি মাসেই বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতেন। বিশেষ করে দুবাই যেতেন। এসব খতিয়ে দেখছি। গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দিতে আমরা সাধ্যমতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এটি চলমান প্রক্রিয়া। এমন নয় যে কালকে চাইলেই আমরা গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দিতে পারবো।’
এর আগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ইভ্যালির অফিসে থাকা দুটি লকারের একটিতে দুটি ব্যাংকের চেক বই এবং কিছু কাগজপত্র পাওয়া গেছে। এরমধ্যে চারতলায় মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৯৭টি এবং সিটি ব্যাংকের ১০টি চেক বই এবং বেশ কয়েকটি কাগজ ছিল। এবং নিচতলায় থাকা আরেকটি লকার থেকে ২৫৩০ টাকা ও বেশ কয়েকটি ব্যাংকের চেক পাওয়া গেছে।
মেশিন দিয়ে লকার কাটার সময় গণমাধ্যম কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। এসময় লকার খুলে চেকগুলো পাওয়ার পর হতাশা প্রকাশ করে সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম মূল্যবান জিনিসপত্র বা টাকাপয়সা থাকতে পারে। এর আগে কমিটির সদস্যরা যখন রাসেলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তখনও আভাস পেয়েছিলাম লকারে টাকা থাকতে পারে। কিন্তু লকার কাটার পর নিরাশ হলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আমরা জানতে পেরেছিলাম ভবন মালিকের কাছে ভবনের চাবি রয়েছে। লকার কাটার পর শুধু চেকের পাতা থাকায় আমরা ধারণা করছি বাড়ির মালিক মূল্যবান জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলতে পারেন। এছাড়া অনেক খাম স্টেপলার করা ছিল। সেই খামগুলো ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। সেখানে টাকা ছিল বলে আমাদের ধারণা।’