৭৭ কোটি টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০ গ্রাহক হাইকোর্টে রিট করেছেন।
রিটে টাকা ফেরত এবং কত টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে তা অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
ই-অরেঞ্জের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত তারেক আলমসহ পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের পক্ষে ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম এ রিট আবেদন করেন।
রিট দায়েরের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী কাইয়ুম বলেন, ‘আগামীকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হবে।’
রিটে দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাণিজ্যসচিবসহ সরকারকে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ই-অরেঞ্জের ৩৩ ভুক্তভোগী আলাদা একটি রিট করেছিল। ওই রিটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে এক লাখ গ্রাহকের প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে ই-অরেঞ্জ শপের দুটি ব্যাংক হিসাব খুঁজে পায় পুলিশ।
গত ২০ জুলাইয়ের হিসাব অনুযায়ী, সেই দুটি ব্যাংক হিসাবে বর্তমানে আছে ৩ কোটি ১২ লাখ ১৪ হাজার ৩৫৬ টাকা।
প্রতিষ্ঠানটির হিসাব বিবরণীর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২০ জুলাই পর্যন্ত সিটি ব্যাংকের একটি হিসাবে জমা পড়েছে ৬২০ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার ৭২৯ টাকা।
এই সময়ের মধ্যে ৬২০ কোটি ৪৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৯২ টাকা তুলে নেয়া হয়। বর্তমানে ওই হিসাবে টাকা জমা আছে ২২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩৭ টাকা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ই-অরেঞ্জের ব্র্যাক ব্যাংকের হিসাবে জমা ছিল ১ হাজার টাকা। তবে গত ৩০ জুন পর্যন্ত এই ব্যাংক হিসাবে জমা পড়ে ৩৯১ কোটি ৬৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৭৯ টাকা।
একই সময়ে এই হিসাব থেকে তুলে নেয়া হয়েছে ৩৮৮ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৫৯ টাকা। বর্তমানে জমা আছে মাত্র ২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার ৬১৯ টাকা।
লোভনীয় অফার দিয়ে দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে ই-অরেঞ্জ।
মোটরসাইকেল, মুঠোফোনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র বিশেষ মূল্যছাড়ে কেনার জন্য বিপুল পরিমাণ গ্রাহক প্রতিষ্ঠানটির হিসাবে অগ্রিম অর্থ জমা দেয়।