সাল ২০১৬, বিদেশের মাটিতে বসে সাইদুর সাহেব তার প্রিমিয়াম প্রোডাক্টগুলো দেশে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছেন, কিন্তু এতগুলো টাকা এবং ভালো মানের সার্ভিস তখনো তিনি খুঁজে পাচ্ছিলেন না । হঠাৎ তিনি দেখলেন র্যাপিডো ডেলিভারিস নামে একটি ডেলিভারি কোম্পানী, যা কিনা তার প্রোডাক্টগুলো সঠিক সময়ে পৌঁছে দিতে পারবে। কিন্তু প্রোডাক্টগুলো ক্যাশ অন ডেলিভারি হওয়ায় তিনি বুঝতে পারছিলেন না কি করবেন।
তাই তিনি এই কোম্পানীর বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিলেন। তিনি দেখলেন এই কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা সামদানী তাবরিজ কোম্পানীর শুরুটা করেছেন একটি সরকার পুরস্কৃত অনুদানে। তিনি সম্পূর্ণ খোঁজ খবর নিয়ে যোগাযোগ করলেন র্যাপিডো ডেলিভারিসের প্রতিষ্ঠাতা সামদানী তাবরিজ এর সাথে। একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠলো তাদের মধ্যে। প্যাকেজিং থেকে শুরু করে ডোর স্টেপ ডেলিভারির দায়িত্ব দিলেন র্যাপিডোকে ।
সাইদুর সাহেবের মনে ভয় থাকলেও এই ভয়কে জয় করেছিলো র্যাপিডো ডেলিভারিস। এই আস্থা ও বিশ্বাস কে আগলে রেখে আজও পথ পাড়ি দিচ্ছে তারা। কথায় আছে "রোম সাম্রাজ্য একদিনে তৈরি হয়নি", তাই সামদানি তাবরীজ আজও তার র্যাপিডোর সাম্রাজ্যকে তৈরীর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। তিনি তার মূল্যবান কাস্টোমারদের আস্থা ও নির্ভরশীল সার্ভিস প্রদানে বিশ্বাস করেন।
সাইদুর সাহেবের মত এখন প্রায় চার হাজারেরও বেশি ক্লায়েন্ট রয়েছে র্যাপিডো ডেলিভারিসের।দেশের অন্যান্য স্টার্টআপ কোম্পানী গুলোর মতই র্যাপিডোকে সবাই কমবেশি চেনেন। এর চেয়েও বেশি পরিচিত মুখ হল তার প্রতিষ্ঠাতা সামদানী তাবরিজের। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে শুরু করে তার বিভিন্ন সময়ে পাওয়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্জন ও ভারতে অনুষ্ঠিত "ইন্ডিয়া সফ্ট এক্সপোর" মত অনুষ্ঠান গুলো থেকে নিমন্ত্রণ পাওয়ায় তার পরিচিতি বাড়তে থাকে। এমন একজন অল্পবয়সী ব্যবসায়ী, যার ওপর ভরসা করে আছে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মার্চেন্ট।
অনলাইন ব্যবসার শুরু থেকে বড় হতে একটি লজিস্টিক্স কোম্পানীর ভূমিকা অকল্পনীয়।সামদানী তাবরিজ এর লক্ষ্য হলো ছোট হোক বড় হোক ই-কমার্স খাতে যে সকল ব্যবসায়ী রয়েছেন তাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বড় হওয়া। বাংলাদেশের ই-কমার্স ও লজিস্টিক্স ইন্ডাস্ট্রিতে এমন "ঐক্য" আনা যা বাংলাদেশের মানুষের সমস্যা গুলো সমাধান করবে নিমিষেই।
আজ র্যাপিডো বাংলাদেশের অন্যান্য লজিস্টিক্স এর মধ্যে একটি। সামদানী তাবরিজের মতে, "বাংলাদেশের লজিস্টিক্স খাতে নতুনত্ব ও ভিন্ন রকম কিছু করা সম্ভব। যা কিনা বাংলাদেশে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে এনে দিবে এক অন্যরকম অধ্যায়।"
এরই লক্ষে চলমান ই-ক্যাব নির্বাচনে "ঐক্য" প্যানেলে যোগদান করেন তিনি।এই প্যানেলের সকল প্রার্থীকে আগামীকে পরিবর্তন করার মতো সুযোগ্য প্রার্থী হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি। প্যানেলটিতে আছেন, প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ (যাচাই ডট কম লি.), মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম (অংশীদার-ক্রাফটসম্যান সলুশন), মো. তাজুল ইসলাম (আই এক্সপ্রেস লিমিটেড), আরিফ মোহাম্মদ আব্দুস শাকুর চৌধুরী (স্কুপ ইনফোটেক লিমিটেড), মো. সেলিম শেখ (নূরতাজ ডট কম বিডি), সামদানি তাব্রীজ (র্যাপিডো ডেলিভারিস), ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদা হায়দার রিমা (মেনসেন মিডিয়া), মো. আরিফুল ইসলাম ডিপেন (পরান বাজার) এবং ছোফায়েত মাহমুদ লিখন (কোরিয়ান মার্ট বিডি)।
শুধু কথায় নয় কাজে পরিবর্তন আনা "ঐক্যের" একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। কঠিন পরিস্থিতিতে যেন ব্যবসা গুলো গুটিয়ে নিতে না হয় এবং ব্যবসার অগ্রগতির জন্য কাজ করে যেতে চাই এই প্যানেলটি। ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও এই ইন্ডাস্ট্রিকে একটি ভিন্নধর্মী ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত করার লক্ষ্যে "ঐক্য" ই-ক্যাব ইলেকশন (২০২২-২০২৪)-এ তাদের ক্যাম্পেইন জোরালো ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।