ঢাকা | শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ |
২৩ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

ইভ্যালিতে গ্রাহকদের ২৬ কোটি টাকার মধ্যে নগদ-এই ১৮ কোটি আটকানো

ইভ্যালিতে গ্রাহকদের ২৬ কোটি টাকার মধ্যে নগদ-এই ১৮ কোটি আটকানো
ইভ্যালিতে গ্রাহকদের ২৬ কোটি টাকার মধ্যে নগদ-এই ১৮ কোটি আটকানো

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে বেশি বেছে নেয় মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ ও সফটওয়্যার শপ লিমিটেডকে (এসএসএল)। তবে পরিমাণের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি টাকা আটকে ছিল ফস্টার করপোরেশনে। প্রতিষ্ঠানটিতে আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ ৩৮২ কোটি টাকা। এ ছাড়া নগদে ২০ কোটি ৬৯ লাখ এবং এসএসএলে ৮৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা আটকে ছিল। এ ছাড়া সূর্যমুখী লিমিটেডে ২৬ কোটি ২১ লাখ এবং বিকাশে ৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা আটকে ছিল।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইভ্যালিতে আটকে থাকা গ্রাহকদের ২৬ কোটি টাকার মধ্যে বিকাশে প্রায় ৫ কোটি, নগদে ১৮ কোটি ও এসএসএলে ৩ কোটি রয়েছে। আর এসএসএলে আটকে আছে ই–অরেঞ্জের গ্রাহকদের ৩৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান বিকাশের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা পেলেই আমরা এ টাকা ছাড় করে দেব। এখানে আমাদের সিদ্ধান্তের কোনো জায়গা নেই।’ সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড থাকায় বিকাশের পক্ষ থেকেই প্রথম ইভ্যালির সঙ্গে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা আনা হয় এবং এ কারণেই বিকাশে আটকে থাকা টাকার পরিমাণ অন্যদের তুলনায় কম বলে জানান তিনি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৫২৫ কোটি টাকার মধ্যে ১৪টি প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের কোনো টাকাই ফেরত দেয়নি। ১৩টি ফেরত দিয়েছে আংশিক টাকা। ফেরত না দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ইভ্যালি, সিরাজগঞ্জ শপ, নিডস, টোয়েন্টিফোর টিকেটি, ই–অরেঞ্জ, উইকুম, আকাশ নীল, আলাদীনের প্রদীপ, আমার বাজার, আস্থার প্রতীক, বাড়ির দোকান ডটকম, নিরাপদ এবং ইনফিনিটি মার্কেটিং লিমিটেড।

এ পর্যন্ত ১৩ ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা ফেরত পাওয়া গ্রাহকের সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি। আরও প্রায় ২৫ হাজার গ্রাহক টাকা ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। তবে কবে নাগাদ সবাই পুরো টাকা ফেরত পাবেন, তা অবশ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না। গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়ার সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান মো. হাফিজুর রহমান বলেন, টাকা ফেরত চলমান প্রক্রিয়া। যেসব প্রতিষ্ঠান মামলায় জড়ানো এবং গত বছরের ৩০ জুনের আগে যাদের টাকা আটকে গেছে, সেগুলোর ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু করার বাস্তবতা নেই।

ইভ্যালি,২৬ কোটি,নগদ,১৮ কোটি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend