ঢাকা | রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ |
১৮ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

নজরদারিতে আলেশা মার্টসহ অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান

৫৮৮ কোটি টাকা লেনদেন, ব্যাংকে ব্যালেন্স মাত্র ৯৩ হাজার টাকা - দেশ ছেড়েছেন ধামাকার এমডি

৫৮৮ কোটি টাকা লেনদেন, ব্যাংকে ব্যালেন্স মাত্র ৯৩ হাজার টাকা - দেশ ছেড়েছেন ধামাকার এমডি
৫৮৮ কোটি টাকা লেনদেন, ব্যাংকে ব্যালেন্স মাত্র ৯৩ হাজার টাকা - দেশ ছেড়েছেন ধামাকার এমডি

এবার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিং এর বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণাসহ নানা কারণে এই প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ডও তদন্তাধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে দেশ ছেড়ে আমেরিকা পাড়ি জমিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জসিম উদ্দিন চিশতি। সূত্র জানায়, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা থাকছে না। গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা থেকে শুরু করে টাকা পাচারের অভিযোগও রয়েছে এসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ইভ্যালি কর্মকাণ্ডের পর সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এখন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ওপর তদারকি বাড়িয়েছে।

অনলাইন বেচাবিক্রির এসব প্ল্যাটফরমে গ্রাহকরা প্রতারিত হওয়ায় সম্প্রতি ই-কমার্স নীতিমালা জারি করে সরকার। তাতে পণ্য গ্রাহকের হাতে পৌঁছানোর পর টাকা নিতে বলা হয়েছে। নীতিমালায় ই-কমার্স পরিচালনার গাইডলাইন করে দেওয়া হয়েছে। গ্রাহক পণ্য না পেলে টাকা ঐ প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে যাবে না। কিন্তু ইতিমধ্যে যারা টাকা পাচারের ঘটনা ঘটিয়েছে, এখন তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চালাচ্ছে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা। একটি সংস্থার তদন্তে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকার বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে বলে জানা যায়।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের প্রাথমিক তদন্তে ধামাকা কর্তৃক প্রায় ৫০ কোটি টাকা যুক্তরাষ্ট্রের একটি ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করার প্রমাণ মিলেছে। এই টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে পণ্য বিক্রির নামে অগ্রিম নিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। ‘ডাবল টাকা ভাউচার’ এবং ‘সিগনেচার কার্ড’ স্কিমের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে পাচার করা হয়। গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম টাকা ‘ইনভ্যারিয়েন্ট টেলিকমের’ নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে রাখা হতো। সেই ব্যাংক হিসাবে গত ৮ মাসে ৫৮৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়। বর্তমানে যার ব্যালেন্স ৯৩ হাজার টাকা।

এদিকে, সুযোগ বুঝে আগেই দেশ ছেড়েছেন ধামাকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিন চিশতি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ থেকে তাকে ডাকা হলেও তার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন তিনি মহামারির কারণে দেশে ফিরতে পারছেন না। তবে ধামাকা ও সংশ্লিষ্টদের জব্ধকৃত ১৪টি ব্যক্তিগত হিসাবের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নামে পাঁচটি, ইনভ্যারিয়েন্ট টেলিকমের সাতটি, মাইক্রো ট্রেডের নামে একটি এবং মাইক্রো ফুড অ্যান্ড বেভারেজের নামে একটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে।

সূত্রমতে, টাকা পাচারের ঘটনায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করা হবে। ইতিমধ্যে কর্মকর্তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর আওতায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিন চিশতি ছাড়াও রয়েছেন উপ-মহাব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম উদ্দীন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, পরিচালক (অপারেশন্স) সাফওয়ান আহমেদ, অ্যাকাউন্টস ও ফাইনান্স বিভাগের প্রধান আমিনুর হোসেন। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লক করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়।

এর আগে সন্দেহজনক লেনদেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অমান্য এবং গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ধামাকা থেকে গ্রাহকদের কেনাকাটায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ১০ ব্যাংক ও পেমেন্ট গেটওয়ে বিকাশ। ব্যাংকগুলো হচ্ছে—ডাচ-বাংলা ব্যাং?ক, প্রাইম ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং সিটি ব্যাংক। এসব ব্যাংকের গ্রাহকরা তা?দের ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ড দিয়ে এই ই-কমার্স সাইটে পণ্য অর্ডার দিতে পারবেন না। সুত্রঃ ইত্তেফাক

ধামাকা,দেশ ছেড়েছেন,dhamakashopping.com,dhamaka,জসিম উদ্দিন চিশতি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend