ইঅরেঞ্জের গ্রাহকদের দায়ের করা মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমানসহ আরও একজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন ঢাকার এক আদালত।
অভিযুক্ত আরেক ব্যক্তি হলেন ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্লাহ। সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এর আগে, গত ১৬ আগস্ট ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা গুলশান পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের করার ভিত্তিতে ১৭ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পন করেন এই দম্পতি
উত্তেজিত গ্রাহকদের পক্ষে মো তাহেরুল ইসলাম সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়। অপর আসামিরা হলেন আমান উল্লাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ।
পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।
এদিকে, গ্রাহকদের হেনস্তার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
তাদের বিরুদ্ধে কেনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে তাদেরকে এর কারণ ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পণ্য ডেলিভারি নিশ্চিত করতে ইঅরেঞ্জ কর্তৃপক্ষের বাকি থাকা অর্ডারের তালিকা প্রকাশ এবং সেগুলো পৌঁছে দেওয়ার নির্ধারিত দিনক্ষণ প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু তা না করে প্রতিষ্ঠানটি আরও ৪৫-৬০ দিন অতিরিক্ত সময় চায়।
সময় নিয়ে মালিকপক্ষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন এই আশঙ্কা থেকে গ্রাহকরা মামলা দায়েরের জন্য থানায় যান।
এর আগে, গত ১২ আগস্ট ই-অরেঞ্জ এক ফেসবুক পোস্টে রিসেলারদের বিরুদ্ধে অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ আনে। তবে, ১৬ আগস্ট থেকে পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম শুরু করার প্রতিশ্রুতি জানায় তারা।
১১ আগস্ট অন্তত ৫০ জন গ্রাহক ই-অরেঞ্জের গুলশান অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন।