ই-অরেঞ্জের মূল প্রতিষ্ঠান অরেঞ্জ বাংলাদেশের একজন পরিচালক এই পুলিশ কর্মকর্তা। দুটি প্রতিষ্ঠান রাজধানীর গুলশানে একই ঠিকানায় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতো। যদিও প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছেন সোহেল রানা।
ই–অরেঞ্জ, অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি মোটরসাইকেল, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রি করত। সম্প্রতি গ্রাহকদের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে প্রতারণার মামলা হয় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। মামলায় ৫ আসামীর মধ্যে তিনজন এখন কারাগারে, বাকি দুইজন পলাতক। আসামীদের সবাই বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানার স্বজন।
ই অরেঞ্জ মূলত অরেঞ্জ বাংলাদেশ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। অরেঞ্জ বাংলাদেশের কর শনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিনে পরিচালক হিসেবে পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানার নাম রয়েছে। তিনি এখন রাজধানীর বনানী থাকায় কর্মরত। ওই ই-টিন নিতে ব্যবহার করা হয়েছে তার ব্যক্তিগত ই-টিন। রাজধানীর গুলশানের এক ঠিকানা থেকে প্রতিষ্ঠান দুটি কার্যক্রম পরিচালনা করতো।
ই-অরেঞ্জ এর ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু হয় ২০১৯ সালের ৩০শে জুলাই সোনিয়া মাহাজাবিনের নামে, যিনি পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানার ছোট বোন। চলতি বছরের জুলাই মাসে ই অরেঞ্জ এর মালিকানা বদলে যায়। ট্রেড লাইসেন্স সংশোধন করে সোনিয়া মাহাজাবিনের বদলে বিথী আক্তারকে ই অরেঞ্জের স্বত্তাধিকারী ঘোষণা করা হয়। জানা গেছে, বিথি আক্তারের সাথে শেখ সোহেল রানার ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক রয়েছে।
একটি বেসরকারি ব্যাংকে ই অরেঞ্জের হিসাবে গত এক বছরে ৬শ ৩০ কোটি টাকা জমা হয়েছে। তার ১ কোটি টাকা রেখে পুরোটাই তুলে নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে গত নভেম্বর থেকে ছয় মাসে ২ কোটি ৪৭ লাখ ২৮ হাজার ৫শ টাকা তুলে নেন পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা। এই হিসাব থেকে টাকা তুলে নেয়াদের তালিকার প্রায় সবাই শেখ সোহেল রানার স্বজন। এছাড়া ই অরেঞ্জের ব্যাংক হিসাব থেকে অরেঞ্জ বাংলাদেশ এবং রেড অরেঞ্জ এ ৮০ লাখ ১৮ হাজার টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করছেন পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পুলিশও সাড়া দেয়নি।