ঢাকা | শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ |
২০ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

৭০ শতাংশ বেশি পারফরম্যান্স দিবে নতুন ম্যাকবুক প্রো

৭০ শতাংশ বেশি পারফরম্যান্স দিবে নতুন ম্যাকবুক প্রো
৭০ শতাংশ বেশি পারফরম্যান্স দিবে নতুন ম্যাকবুক প্রো

ম্যাক ব্যবহারকারীদের অপেক্ষার পালা শেষে এবার ম্যাকবুক প্রো এর ২০২১ সংস্করণের ঘোষণা দিল টেক জায়ান্ট অ্যাপল। গত ১৮ অক্টোবর রাতে 'অ্যাপল আনলিশড' ইভেন্টে নতুন দু'টি মডেলের ম্যাকবুকের আদ্যপান্ত তুলে ধরে অ্যাপল। ১৪ ও ১৬ ইঞ্চি আকারের নতুন এ ডিভাইসে থাকছে অ্যাপল সিলিকন এম১ প্রো এবং এম১ এক্স প্রসেসর, যা এর পূর্ববর্তী সংস্করণ থেকে আরও উন্নত। এর পাশাপাশি ওয়্যারলেস ইয়ারবাডস সিরিজ 'এয়ারপডস' এবং স্মার্ট স্পিকার 'হোমপড মিনি' লঞ্চ করে অ্যাপল।

সদ্য রিলিজ হওয়া এই ম্যাকবুকের মূল আকর্ষণ হচ্ছে এর প্রসেসর এম১ প্রো এবং এম১ ম্যাক্স। গতবছরই অ্যাপল ইন্টেলের চিপ থেকে সরে এসে তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে বানানো এম১ চিপ দিয়ে কম্পিউটার বাজারে আনে। এই চিপটি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী এবং সাশ্রয়ী ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় এম১ চিপের উন্নততর সংস্করণ হচ্ছে এবছরের এম১ প্রো এবং এম১ ম্যাক্স।

এম১ প্রো তে আছে ১০-কোর সিপিইউ এবং ১৬-কোর জিপিইউ। ৩৩.৭ বিলিয়ন ট্রানজিস্টরের সমন্বয়ে গঠিত এ চিপটি আগের চেয়ে ৭০ শতাংশ উন্নত সিপিইউ পারফরম্যান্স ও দ্বিগুণ গ্রাফিক্স পারফরম্যান্স দিতে পারবে।

আর এম১ ম্যাক্স চিপটি ১০-কোর সিপিইউ, ৩২-কোর জিপিইউ নিয়ে গঠিত। ৫৭ বিলিয়ন ট্রানজিস্টরের সমন্বয়ে গঠিত এ চিপটি এম১ ম্যাক্স এর চেয়েও অধিক শক্তিশালী। এম১ ম্যাক্স চালিত ম্যাকবুক প্রো এর সাথে একবারে তিনটি আলাদা মনিটর ও একটি ৪কে টিভি ব্যবহার করা যাবে। এটিই যেকোনো নোটবুকের জন্য বানানো সবচেয়ে শক্তিশালী চিপ, এমনটাই দাবি অ্যাপলের।

এর আগের সংস্করণের ম্যাকবুকগুলোতে এলসিডি রেটিনা ডিসপ্লে ব্যবহৃত হলেও এবারের ম্যাকবুক প্রো তে ব্যবহৃত হয়েছে অ্যাপলের মিনি-এলইডি ডিসপ্লে প্রযুক্তি। মিনি-এলইডি ডিসপ্লে আগের থেকে অনেক বেশি উজ্জ্বল। এছাড়াও ডিসপ্লেতে ব্যবহার করা হয়েছে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের প্রো-মোশন প্রযুক্তি। অ্যাপল এই ডিসপ্লেকে অভিহিত করেছে, 'লিকুইড রেটিনা এক্সডিআর ডিসপ্লে' হিসেবে। ডিসপ্লের ব্যবহারযোগ্য অংশ বাড়াতে চারদিকে 'বেজেল' এর পরিমাণ কমিয়ে আইফোনের মত নচ ব্যবহার করা হয়েছে ক্যামেরার জন্য। ফ্রন্ট ক্যামেরার রেজোলিউশন ৭২০পি থেকে বাড়িয়ে ১০৮০পি করা হয়েছে।

অন্যদিকে এয়ারপডসের তৃতীয় সংস্করণে বেশ কিছু উন্নতি এবং নতুন কিছু ফিচার নিয়ে এসেছে অ্যাপল। তবে এয়ারপডস প্রো এর মত অ্যাক্টিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন সুবিধা নেই এতে। তবে আছে উন্নত স্পিকার ও উন্নত ব্যাটারি, যা থেকে ছয় ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। এটিও ম্যাগসেফ প্রযুক্তি দিয়ে তারবিহীন চার্জার দিয়ে চার্জ করা যাবে। তবে বরাবরের মতই লাইটনিং চার্জার দিয়েও চার্জ করা যাবে। এর দাম ধরা হয়েছে ১৭৯ ডলার। ২৬ অক্টোবর থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এয়ারপডস ৩।

নোটবুকগুলো ১৬ গিগাবাইট থেকে শুরু করে ৬৪ গিগাবাইট পর্যন্ত র‍্যাম ভ্যারিয়েন্ট এবং ৫১২ গিগাবাইট থেকে শুরু করে ৮ টেরাবাইট পর্যন্ত সুপারফাস্ট এসএসডি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে।

ম্যাকবুকের চিরচেনা টাচবারকে সরিয়ে আবার ফিরে এসেছে ফাংশন কি। দুইটি মডেলই টাচআইডি নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমর্থন করে। কি-বোর্ডটি অবিকল অ্যাপলের ম্যাজিক কি-বোর্ডের মত করেই প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, যা টাইপিংকে আরও উপভোগ্য করবে।

ডিজাইন ও পোর্টস নির্বাচনে বেশ পরিবর্তন এনেছে অ্যাপল। সবগুলো ম্যাকবুকে তিনটি করে থান্ডারবোল্ট পোর্ট, একটি এইচডিএমআই পোর্ট, একটি ম্যাগসেফ চার্জিং পোর্ট, একটি হেডফোন জ্যাক এবং একটি এসডি কার্ড স্লট রয়েছে।

ম্যাকবুক প্রো ১৪ এ রয়েছে ৬৯.৬ ওয়াট-আওয়ারের ব্যাটারি ও ৯৬ ওয়াটের ফাস্ট চার্জ সাপোর্ট। অন্যদিকে ম্যাকবুক প্রো ১৬ তে রয়েছে ৯৯.৬ ওয়াট-আওয়ারের ব্যাটারি ও ১৪০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জ সাপোর্ট। চার্জারটির মাধ্যমে ম্যাগসেফ প্রযুক্তি আবার ফিরে এসেছে ম্যাকবুকে। এই চার্জার দিয়ে ম্যাকবুকগুলোকে মাত্র আধাঘণ্টায় ৫০% পর্যন্ত চার্জ করা যাবে। ম্যাকবুক প্রো ১৪-এ ১৭ ঘণ্টা এবং ম্যাকবুক প্রো ১৬-এ ২১ ঘণ্টা পর্যন্ত ভিডিও প্লেব্যাকের দাবি করেছে অ্যাপল।

ম্যাকবুক প্রো ১৪ এর দাম শুরু ১৯৯৯ ডলার থেকে এবং ম্যাকবুক প্রো ১৬ এর দাম শুরু ২৪৯৯ ডলার থেকে। সবচেয়ে উচ্চ কনফিগারেশনের ম্যাকবুক প্রো এর দাম ধরা হয়েছে ৬০০০ ডলার! বর্তমানে এর প্রি-অর্ডার চললেও তা বাজারে আসবে ২৬ অক্টোবর।

বেশি পারফরম্যান্স,৭০ শতাংশ,ম্যাকবুক প্রো
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend