সপ্তাহব্যাপী ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত জনশুমারি ও গৃহগণনা কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলাদেশি টেকনোলজি জায়ান্ট ওয়ালটনের তৈরি ট্যাব।
বুধবার (১৫ জুন, ২০২২) গণভবনে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন ট্যাব ব্যবহার করে গণনাকারীর কাছে তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। জনশুমারির জন্য মাঠপর্যায়ে ১৫-২১ জুনের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যা ‘শুমারি সপ্তাহ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সব গৃহ ও ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ দ্রুততম সময়ে শুমারির প্রতিবেদন প্রকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
এছাড়াও বঙ্গভবন থেকে ওয়ালটন ট্যাবের মাধ্যমে জনশুমারিতে অংশগ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সে সময় তিনি বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার পূরণ ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠনে প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
উল্লেখ্য, সারাদেশে একযোগে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন গণনাকারী ৪ লক্ষ ওয়ালটন ট্যাবের সাহায্যে সাত দিন ধরে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে এ শুমারি পরিচালনা করবেন। এতে প্রতিটি ব্যক্তিকে ৩৫টি তথ্য দিতে হবে, যা দেশের আগামী দিনের উন্নয়ন পরিকল্পনায় ব্যবহার করা হবে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ জনশুমারিতে ওয়ালটন ট্যাব ব্যবহৃত হওয়ায় ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী লিয়াকত আলী সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রথম ডিজিটাল জনশুমারিতে বাংলাদেশে তৈরি পণ্য বেছে নেওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কাজে বাংলাদেশে তৈরি পণ্যের ব্যবহার অত্যন্ত উৎসাহব্যাঞ্চক। এতে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পখাত আরো এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা পাবে। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে ব্যাপক অবদান রাখতে সক্ষম হবে। সরকারি কাজে বাংলাদেশে তৈরি পণ্য ব্যবহারের এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।