ঢাকা | রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ |
১৮ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

ডিএসএলআর বনাম মোবাইল ক্যামেরা ক্যামেরা

ডিএসএলআর বনাম মোবাইল ক্যামেরা ক্যামেরা
ডিএসএলআর বনাম মোবাইল ক্যামেরা ক্যামেরা

একটা সময় ছিল যখন মানুষের ছবি তুলতে হলে ক্যামেরার বিকল্প ছিল না। লোকজনকে ছবি তুলতে স্টুডিওতে যেতে হতো। কিন্তু এখন ছবি তোলার জন্য সকলের হাতে হাতে আছে স্মার্টফোন। এখনকার স্মার্টফোন গুলোতে দুই, তিনটা লেন্স থাকে। তাছাড়া স্মার্টফোন সহজে পকেটে বহন করা যায়। তাহলে কি স্মার্টফোনের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে ডিএসএলআর ক্যামেরার জৌলুস। চলুন স্মার্টফোন ক্যামেরা বনাম ডিএসএলআর ক্যামেরার পার্থক্য খুঁজে বের করি।

মেগাপিক্সেলের দিক থেকে স্মার্টফোন এবং ডিএসএলআর ক্যামেরার ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে।ফোনের ক্যামেরার চেয়ে অধিক রেজুলেশনে ছবি আউটপুট দিতে পারে ডিএসএলআর। একটি ছবি আউটপুট দেয়ার সময় ক্যামেরার লেন্সের হাডওয়্যার এবং রং মিলিয়ে আউটপুট দেয়। যেখানে ডিএসএলআর ক্যামেরায় অসংখ্য ভেরিয়েবল আছে। কিন্তু স্মার্টফোন ক্যামেরায় তা তুলনামূলক কম দেখা যায়।ডিএসএলআর ক্যামেরার বহুমাত্রিক ফাংশন তাকে স্মার্টফোন ক্যামেরার সাথে পার্থক্য গড়ে দেয়। আজকালকার স্মার্টফোন কোম্পানি গুলো তাদের বিজ্ঞাপনে 50mp,64mp ক্যামেরা ফলাও করে প্রচার করে। কিন্তু একটি ছবির আউটপুট mp উপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে লেন্সের উপর।ক্যামেরার সেন্সর সাইজ যত বড় তত বেশি আলো সংগ্রহ করা যাবে। ক্যামেরার শাটার খোলা হলে, এটি আলোকে সেন্সরে যেতে দেয়।আলো এক্সপোজার ধরে রাখতে এবং নিখুঁত ছবি তুলতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে এগিয়ে আছে ডিএসএলআর ক্যামেরা। কেননা এর লেন্স সাধারণ স্মার্টফোনের তুলনায় বড় হয়।

আবার ফোকাস ধরে রাখার ক্ষেত্রে ডিএসএলআর ক্যামেরা এগিয়ে।এটি বস্তুর রং,ছায়া সহ যেভাবে আউটপুট দেয় তা স্মার্টফোন ক্যামেরার সাথে সরাসরি তুলনা করলে পার্থক্য পাওয়া যাবে। কোনো বস্তুকে ফোকাসে রেখে নির্দিষ্ট অংশকে বিচ্ছিন্ন করার ক্ষেত্রে ডিএসএলআর ক্যামেরা এগিয়ে।

ডিএসএলআর ক্যামেরার স্টোরেজ শুধু ছবি, ভিডিও'র জন্য। কিন্তু একটি স্মার্টফোনের স্টোরেজে অনেক কাজে ব্যবহৃত হয়।ডিএসএলআর ক্যামেরার ছবির সাইজ রেজুলেশন বেশি হওয়ার দরুণ স্মার্টফোন ক্যামেরার আউটপুটের তুলনায় বেশি হয়।

সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ডিএসএলআর ক্যামেরার লেন্স পরিবর্তন করা যায়।যার ফলে নিজের ইচ্ছেমত লেন্স পরিবর্তন করে ছবি তোলা যায়।অন্যদিকে মোবাইল ফোনের ক্যামেরার লেন্স পরিবর্তন করা না গেলেও এটি পকেটে সহজে বহনযোগ্য। কিন্তু ডিএসএলআর ক্যামেরা পকেটে নিয়ে ঘোরার জিনিস না।এক্ষেত্রে স্মার্টফোন ক্যামেরা এগিয়ে আছে।

নিখুঁত ছবি আউটপুট দেয়ার ক্ষেত্রে বস্তুর রং,ফোকাস ইত্যাদি বিষয় মাথায় রাখতে হয়।ডিএসএলআর ক্যামেরায় একাধিক ভেরিয়েবল,ফাংশন থাকায় ইচ্ছেমতো ছবি তোলা যায়।অন্যদিকে স্মার্টফোন ক্যামেরায় তা অনেকটা সীমাবদ্ধ।

হাতের নাগালে স্মার্টফোন ক্যামেরা পাওয়া গেলেও ফটোগ্রাফি সহ প্রফেশনাল কাজে ডিএসএলআর ক্যামেরার প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক।

ডিএসএলআর,মোবাইল ক্যামেরা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend