বর্তমানে অনলাইন গেমিংয়ে আসক্ত নবপ্রজন্মের একটা বড় অংশ। অনেকেই ডেস্কটপ, ল্যাপটপ কিংবা স্মার্টফোন থেকে অনলাইন গেমে ডুবে থাকেন দিনভর। আবার অনেকে পছন্দের গেমিং প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রিয় গেমগুলির দিকে নজর রাখেন। আর এই দৌলতেই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকে।
হ্যাঁ, অনেকেই এই প্ল্যাটফর্ম থেকে অল্প অল্প করে রোজগার করেন। কিন্তু এই গোটা ব্যাপারটা হ্যাকারদের নজর এড়ায় না। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, সাইবার হানার কবলে পড়ে হাজার হাজার টাকা খোয়াচ্ছেন বাংলাদেশী গেমাররা।
নর্টন সাইবার সেফটি ইনসাইট রিপোর্টে প্রকাশ্য়ে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। তারা একটি সমীক্ষা করে রিপোর্টটি তৈরি করেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, প্রতি ৪ জনের মধ্যে তিন অনলাইন গেমারই সাইবার হানার শিকার। যার জেরে তাঁদের খোয়াতে হয়েছে মোটা অঙ্কের অর্থও। হিসেব বলছে, গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজনকেই রীতিমতো লুটে নিচ্ছে। গড়ে ৭,৮৯৪ টাকা খোয়া যাচ্ছে তাঁদের। অর্থাৎ সাইবার হানার শিকার ৮০ শতাংশেরও বেশি গেমার।
তবে শুধু অর্থই নয়, ইউজারের ডিভাইসটিরও ক্ষতি করে হ্যাকাররা। গেমিং ডিভাইসে ম্যালওয়্যার ঢুকিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয় নানা মূল্যবান এবং ব্যক্তিগত তথ্য। অন্তত ৩৫ শতাংশ গেমারের তরফে এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। আবার ২৯ শতাংশ গেমার জানাচ্ছেন, তাঁদের অনুমতি ছাড়াই অনলাইন গেমিং অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, পাঁচজন গেমারের মধ্যে একজনের ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনেও আপলোড করে দেওয়া হয় বলে জানাচ্ছে এই রিপোর্ট। অর্থাৎ অনলাইন গেমে যে প্রতি পদে বিপদ দাঁড়িয়ে থাকে, তা নয়া রিপোর্টেই স্পষ্ট।
মোট আটটি দেশের ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে গেমারদের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এই সমীক্ষায় কারা কী ধরনের গেমে আসক্ত, সে তথ্যও উঠে এসেছে। তবে যুবপ্রজন্মের কাছে এই রিপোর্ট নিঃসন্দেহে চিন্তার।