ভিডিও গেইমের পেছনে সন্তানদের সময় অপচয় নিয়ে অধিকাংশ অভিভাবকরাই দুশ্চিন্তায়। আবার এমনও অভিভাবক আছেন, যারা গেইমের জন্য সন্তানদের সময় নির্ধারণ করে দেন। যাতে গেইমের প্রতি সন্তানরা বেশি না ঝোঁকে। গেইম নিয়ে প্রচলিত ধারণা হচ্ছে- গেইমের ফলে সময় অপচয়ের পাশাপাশি মানসিকভাবেও গেইমাররা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এদিকে গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট রিসার্চের গবেষকরা জানান, যারা দীর্ঘ সময় ধরে গেইম খেলে, তারা অন্যদের (যারা গেইম খেলে না) চেয়েও সুখি। গবেষণায় দুটি গেইমকে সামনে আনা হয়- নিনটেন্ডো’স অ্যানিমেল ক্রসিং অ্যান্ড ইএ’স প্ল্যান্টস ও জোম্বিস।
এসব গেইমসের নির্মাতারা তাদের গেইমে একেকজন গেইমার কত সময় ব্যয় করে, এর একটা পরিসংখ্যান গবেষকদের জানিয়েছেন। সার্ভেতে গেইমাররা গেইম সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব জানিয়ে। ১৮ বছরেরও বেশি বয়সের ৩,২৭৪ গেইমার এ সার্ভেতে অংশ নেয়।
প্রফেসর অ্যানড্রো পজিবিলস্কি এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি অ্যানিমেল ক্রসিং গেইম দিনে ৪ ঘণ্টা করে খেলেন, তাহলে যারা এই গেইমটি খেলে না তাদের চেয়ে ভালো বোধ করবেন, যদিও এর আগে গবেষণায় বিপরীত তথ্য এসেছিল।