বিদেশগামী কর্মীদের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের আগে প্রবাসী কর্মী পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন লাগবে। টিকা পেতে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মাধ্যমে দুই দফা নিবন্ধন করতে হবে। প্রথমটি বিএমইটি পরেরটি ‘সুরক্ষা’ অ্যাপের নিবন্ধন।
সোমবার (৫ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আমি প্রবাসী অ্যাপের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত চার দিনে ২০ হাজার বিদেশগামী এভাবে নিবন্ধন করেছেন। আরও ১৫ হাজার নিবন্ধন শেষ করার প্রক্রিয়ায় আছেন।
বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত সেবা আরও সহজ ও ডিজিটালাইজড করার লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৮ মে এই অ্যাপ চালু করে। অ্যাপের উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। বাংলা ট্র্যাক গ্রুপ অ্যাপটির কারিগরী সহায়তা দিচ্ছে ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর কাজটি করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘরে বসে যে কেউ এই নিবন্ধন করতে পারবেন। গুগলের প্লে স্টোর থেকে আমি প্রবাসী অ্যাপটি নামানো যাবে। https://www.amiprobashi.com সাইটে গিয়েও অ্যাপটিতে নিবন্ধন করা যাবে।
প্রথম ধাপে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে আমি প্রবাসীতে নিবন্ধন করতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে নির্দেশনা অনুযায়ী পাসপোর্টটি স্ক্যান করতে হবে। এরপর প্রদত্ত তথ্য পাসপোর্ট ডাটাবেজের ভেরিফিকেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সেই মেসেজ এলেই তৃতীয় ধাপে বিএমইটির নিবন্ধনটি করা যাবে। এই মেসেজ আসতে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
বিএমইটির নিবন্ধন হয়ে গেলেই প্রবাসীরা করোনা টিকা প্রাপ্তির লক্ষ্যে সুরক্ষা অ্যাপে গিয়ে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে টিকা গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। বিএমইটির নিবন্ধন করা থাকলে বয়স ৪০ বছর না হলেও প্রবাসী কর্মীরা সুরক্ষায় নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন। এছাড়া বিএমইটি নিবন্ধন করা থাকলে সুরক্ষায় পাসপোর্ট নম্বর দেওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি যাচাই হয়ে যাবে। সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন হয়ে গেলে নির্ধারিত মোবাইল নম্বরে টিকা সেন্টার ও টিকা গ্রহণের তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, টিকা নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষার পাশাপাশি আমি প্রবাসী অ্যাপে নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং বিএমইটির মহাপরিচালক শহীদুল আলম জানিয়েছেন, দেশে পাসপোর্টধারী কোটি মানুষ আছেন। তাদের মধ্যে কারা বিদেশে কাজ করতে যাচ্ছেন সেটি বিএমইটির নিবন্ধন ছাড়া নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সে কারণেই এই নিবন্ধন। আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই সেই কাজটি হচ্ছে।
গত শুক্রবার (২ জুলাই) থেকে বিদেশগামী কর্মীদের বিএমইটি নিবন্ধন শুরু হয় আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে। শুক্রবার থেকে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেশের ৪২টি জনশক্তি কার্যালয়, ৯টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও একটি মেরিন টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে এবং আমি প্রবাসী অ্যাপে বিএমইটির এই রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়।
সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মে সোমবার থেকে এই নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া বিদেশগামী কর্মীদের বিএমইটির নিবন্ধনের সুবিধার্থে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় তিনটি সাব-সেন্টার খোলা হয়েছে। সাব-সেন্টারগুলো হলো সাভার, ধামরাই ও মিরপুর এলাকার জন্য মিরপুরে বাংলাদেশ-কোরিয়া টিটিসি। দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরাণীগঞ্জ এলাকার জন্য কেরাণীগঞ্জ টিটিসি ও গাজীপুর এলাকার জন্য গাজীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স।