দুর্দান্ত ফিচারে বাজারে এলো ওয়ালটনের ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন ‘প্রিমো জেডএক্সফোর’।
বাংলাদেশে তৈরি স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে এই ফোনেই প্রথমবারের মতো দেয়া হয়েছে ৫টি রিয়ার ক্যামেরা। যার প্রধান সেন্সরটি ৬৪ মেগাপিক্সেলের। পাশাপাশি সামনে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। এ
ছাড়া বড় পর্দার ফুল এইচডি ডিসপ্লে, গেমিং প্রসেসর, শক্তিশালী র্যাম, রম, সাইড মাউন্টেড ফিংগারপ্রিন্টসহ এতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব ফিচার।
ওয়ালটন মোবাইলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এসএম রেজওয়ান আলম জানান, শুরু থেকেই জেডএক্স সিরিজে প্রিমিয়াম স্মার্টফোন দিয়ে আসছে ওয়ালটন।
মূলত অ্যাডভান্স ফিচারের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় ‘প্রিমো জেডএক্সফোর’ মডেলের ফ্ল্যাগশিপ ফোনটি ছাড়া হয়েছে। ডিজাইন ও কনফিগারেশনের দিক দিয়ে অনন্য ওয়ালটনের এই ডিভাইসটি বাজারের অন্যান্য ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলোর থেকে যেমন ভিন্ন, তেমনি দামেও সাশ্রয়ী। ফলে এটি দেশীয় স্মার্টফোনপ্রেমিদের মন জয় করে নেবে।
ওয়ালটন মোবাইলের মার্কেটিং ইনচার্জ হাবিবুর রহমান তুহিন জানান, ৮.৬ মিলিমিটার ¯িøম ফোনটি বাজারে এসেছে চারকোল ব্ল্যাক রঙে। এর দাম রাখা হয়েছে মাত্র ২৬,৯৯৯ টাকা।
করোনাভাইরাস মহামারিতে ঘরে বসেই ওয়ালটনের নিজস্ব অনলাইন শপ ই-প্লাজা থেকে ফোনটি কেনা যাবে। লকডাউন না থাকলে দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা, মোবাইল ব্র্যান্ড ও রিটেইল আউটলেট থেকেও ফোনটি কিনতে পারবেন গ্রাহক।
জানা গেছে, সম্পূর্ণ থ্রিডি গ্লাস প্যানেলে তৈরি বলে ‘প্রিমো জেডএক্সফোর’ যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনই টেকসই। ফিংগারপ্রিন্ট সেন্সরটি সাইড মাউন্টেড হওয়ায় ব্যবহারকারী প্রিমিয়াম ফিল পাবেন।
এতে রয়েছে ২০:৯ অ্যাসপেক্ট রেশিওর ৬.৬৭ ইি র ফুল এইচডি প্লাস এলটিপিএস ডিসপ্লে।
পর্দার রেজ্যুলেশন ২৪০০ বাই ১০৮০ পিক্সেল। অ্যান্ড্রয়েড ১১ অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত ওয়ালটনের এই ফোনে ব্যবহৃত হয়েছে ২.০৫ গিগাহার্জ গতির শক্তিশালী ‘হেলিও জি৯৫’ অক্টাকোর প্রসেসর। যা গেমিং প্রসেসর হিসেবে ইতোমধ্যেই তরুণ প্রজন্মের কাছে দারুণ সাড়া ফেলেছে।
গ্রাফিক্স হিসেবে আছে এআরএম মালি-জি৭৬ এমসিফোর। এরসঙ্গে ৮ গিগাবাইট এলপিডিডিআর৪এক্স র্যাম থাকায় মিলবে দুর্দান্ত গতি। জনপ্রিয় সব গেম খেলা যাবে অনায়াসেই।
ফোনটিতে ১২৮ গিগাবাইট ইন্টারন্যাল স্টোরেজের সাথে ২৫৬ গিগাবাইট মাইক্রো এসডি কার্ড সাপোর্ট সুবিধা রয়েছে।
ফোনটির পেছনে রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশসহ ৫টি ক্যামেরা সেটআপ। পেন্টা ক্যামেরার প্রধান সেন্সরটি ৬৪ মেগাপিক্সেলের সনি আইএমএক্স৬৮২। যার অ্যাপারচার ১.৮৯। ১/১.৭৩ ইি র ৬পি লেন্স থাকায় ছবি হবে ঝকঝকে ও নিখুঁত। এর পাশাপাশি রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ১১২ ডিগ্রি পর্যন্ত ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, ৫ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো লেন্স, ২ মেগাপিক্সেলের ডেফথ সেন্সর এবং আরেকটি ২ মেগাপিক্সেলের মনো পোর্টরেইট লেন্স।
পেছনের ক্যামেরায় ফোরকে রেজ্যুলেশনের ভিডিও ধারণ করা যাবে। আকর্ষণীয় সেলফির জন্য ফোনটির সামনে রয়েছে ২.২ অ্যাপারচারের পিডিএএফ প্রযুক্তির ৩২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।
পর্যাপ্ত পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য ফোনটিতে রয়েছে ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিংসহ ৪০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার লি-পলিমার ব্যাটারি। কানেক্টিভিটি হিসেবে আছে ডুয়াল ব্যান্ড ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ভার্সন ৫, ওয়ারলেস ডিসপ্লে, ল্যান হটস্পট, ইউএসবি টাইপ সি, ওটিএ এবং ওটিজি।
সেন্সর হিসেবে রয়েছে প্রোক্সিমিটি, ওরিয়েন্টেশন, ম্যাগনেটোমিটার, লাইট (ব্রাইটনেস), এক্সিলারোমিটার (থ্রিডি), গ্রাভিটি, লিনিয়ার এক্সিলারেশন, রোটেশন ভেক্টর, স্টেপ ডিটেক্টর, জিপিএস, এ-জিপিএস নেভিগেশন ইত্যাদি। এর অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ফেস আনলক, ফোরকে ভিডিও প্লেব্যাক ও ক্যামকর্ডার, বিল্ট-ইন স্ক্রিন রেকর্ডার, স্মার্ট জেসচার, স্পিøট স্ক্রিন, সাসপেন্ড বাটন, প্রাইভেট স্পেস ও অ্যাপস লকার ইত্যাদি।
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নিজস্ব কারখানায় তৈরি এই স্মার্টফোনে ৩০ দিনের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধাসহ এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা মিলবে।