কপালে টিপ পরায় এক শিক্ষককে বাজে গালি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ফেসবুকে টিপের পক্ষে সরব হয়েছেন হাজারও মানুষ। টিপ পরা ছবি দিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা।
কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ‘নীরার জন্য কবিতার ভূমিকা’ কবিতায় এভাবেই বিশেষায়িত করেছেন টিপকে। দ্রোহের কবি কাজী নজরুলের ইসলামও ‘প্রিয় এমন রাত’-এ ‘চাঁপা ফুলের শাড়ি খয়েরি টিপ’-এর বন্দনা করেছেন।
সেই টিপ হয়েছে আক্রোশের শিকার। কপালে টিপ পরে শনিবারের নিজ কর্মস্থলের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন তেজগাঁও কলেজের শিক্ষক ড. লতা সমাদ্দার। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় লতা সমাদ্দারকে উদ্দেশ করে কটূক্তি করেন একজন পুলিশ সদস্য।
প্রতিবাদ করতে গেলে ওই পুলিশ সদস্য তাকে হত্যার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ করেছেন থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার। থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি অধ্যাপক অপু উকিল লিখেছেন, ‘টিপের সঙ্গে এই উপমহাদেশের অনেক প্রাচীন সম্পর্ক রয়েছে। আমি কপালে টিপ পরতে খুব ভালোবাসি। শুধু ভালোবাসাই নয়, আমি বিশ্বাস করি, টিপের সঙ্গে আমার সংস্কৃতি এবং আস্থা জড়িয়ে রয়েছে।’
সাংবাদিক ও কলামিস্ট মাসুদা ভাট্টি লিখেছিন, ‘টিপটা সবুজ, যা বাংলাদেশকে নির্দেশ করে সব সময়। কিন্তু কারা যেন বাংলাদেশকে (টিপকে) মুছে দিতে চায়…। কালকেই লিখছিলাম- কারা এই নিষ্ঠুর সমাজ তৈরি করছে?
অভিনেত্রী চিত্রলেখা গুহ লিখেছেন, আমি টিপ পরবো কি পরবো না, সেটা আমার ইচ্ছা এবং অধিকার। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের( পুলিশ) কাছে জানতে চাই এটা কি অপরাধ তালিকায় পড়ে?
ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তার লিখেছেন, ‘ঐ যে আছে না মুরতাদ লাকী, নাস্তিক লাকী, বান্দরের মতন লাকী হিন্দুদের মতন টিপ দেয় যে ‘……এভাবে ওয়াজ করে। এভাবেই তারা আমাদের আক্রমণ করে নিয়মিতই। আমাদের অনেকের চোখেই এইসব আক্রমণ চোখেও পড়ে না।