টুইটারের প্রধান নির্বাহী (সিইও) হিসেবে যোগ দিলেন লিন্ডা ইয়াকারিনো। গতকাল শুক্রবার (১২ মে) খবরটি নিশ্চিত করে তাকে স্বাগত জানান ডিজিটাল প্লাটফর্মটির মালিক ইলোন মাস্ক।
একদিন আগে নতুন সিই্ও পাওয়ার খবর জানালেও তার নাম প্রকাশ করেননি মাস্ক। টুইটে ‘শি’ সম্বোধন থাকায় একাধিক সংবাদমাধ্যম লিন্ডার নাম প্রকাশ করে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তখন জানায়, এনবিসি ইউনিভার্সালের বিজ্ঞাপন বিপণন নির্বাহী লিন্ডা ইয়াকারিনো এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে যোগ দিচ্ছেন।
এমন গুঞ্জনের সিলমোহর দিলেন মাস্ক নিজেই। ২৪ ঘণ্টার মাঝে আরেক টুইটে লেখেন, টুইটারের নতুন সিইও হিসেবে লিন্ডা ইয়াকারিনোকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। এখন থেকে লিন্ডা টুইটারের যাবতীয় বাণিজ্যিক কার্যক্রম তদারকি করবে। আমি টুইটারের প্রোডাক্ট ডিজাইন ও নতুন প্রযুক্তির ওপর নজর দেব।
মার্কিন করপোরেট জগতে লিন্ডা পরিচিত নাম। এক দশকেরও বেশি সময় বহুজাতিক মিডিয়া সংস্থা এনবিসি ইউনিভার্সালের সঙ্গে কাজ করছেন। সংস্থার বিজ্ঞাপন-সমর্থিত স্ট্রিমিং পরিষেবা পিকক চালুর ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।
টার্নার এন্টারটেইনমেন্টে ১৯ বছর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে লিন্ডার। নেটওয়ার্কটির বিজ্ঞাপন খাতকে ডিজিটাল দুনিয়ায় পথ দেখানোর কৃতিত্বও তার।লিন্ডা ইয়াকারিনো পড়াশোনা লিবারেল আর্টস ও টেলিকমিউনিকেশনে। পেন স্টেট ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী তিনি।
গত মাসে মিয়ামিতে একটি বিজ্ঞাপন সম্মেলনে মাস্কের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন লিন্ডা। ওই সময় টেসলা বসের কাজের প্রশংসা করেন তিনি।
কোম্পানির নেতৃত্ব ঠিক রাখা ও নিজের অন্যান্য ব্যবসায় মনোযোগ দেয়ার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে চাপের মধ্যে ছিলেন মাস্ক। গত বছর চার হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটারের মালিকানা নেয়ার পর একা হাতেই সব কাজ করছিলেন। এই সময় ব্যাপক ছাঁটাই ও রদ বদলের মধ্য দিয়ে গেছে ডিজিটাল প্লাটফর্মটি।
সিইও নিয়োগের ঘোষণার পর টেসলার শেয়ারের দাম বেড়ে গেছে। এর আগে টুইটারে মনোযোগ দেয়ায় অন্যান্য কাজে ক্ষতি হয়েছে বলে শেয়ারহোল্ডাররা মাস্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।