এ বছর ডেঙ্গু জ্বরের নজিরবিহীন প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার, যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকাস্থ দূতাবাস এবং ইউনিসেফসহ কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে গুগল কাজ করেছে। এ সহযোগিতার অংশ হিসেবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ, লক্ষণগুলোর সঙ্গে পরিচয় এবং চিকিৎসায় করণীয় সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের সঙ্গে জনগণকে সংযুক্ত করছে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনটি।
অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে ওয়েব সার্চে এবং ইউটিউবে বিভিন্ন সহায়তামূলক ফিচার চালু করেছে গুগল, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যখন দরকার তখনই সহজে ও দ্রুত বিশ্বস্ত তথ্য পেয়েছে এবং পাচ্ছে।
অনুসন্ধান: যখন বাংলাদেশের মানুষ google.com এ ভিজিট করেন তখন তাদের পছন্দের বাংলা বা ইংরেজি ভাষায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদিত ইউনিসেফের জনসেবা ঘোষণা দেখানো হয়।
একইসঙ্গে সার্চে জরুরি এসওএস সতর্কতা সেবা চালু করেছে গুগল। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ডেঙ্গু সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে অনুসন্ধান করলে তাদেরকে বাংলা অথবা ইংরেজি ভাষায় নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেল্থ কল সেন্টারের (১৬২৬৩) সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দেয়।
বাংলা এবং ইংরেজিতে ডেঙ্গু সংক্রান্ত অনুসন্ধান শব্দগুচ্ছের ব্যবহারে তৈরি পৃথক দুইটি মাইক্রোসাইটের মাধ্যমে এটি একযোগে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ডেঙ্গু সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাগুলোর অনুসন্ধান ধারা জানা যায়। বাংলাদেশীরা ডেঙ্গু-সম্পর্কিত অনুসন্ধানের ট্রেন্ড সম্পর্কে জানতে এ দুইটি লিংকে ক্লিক করতে পারেন: goo.gle/BD-EN-dengue (ইংরেজি) এবং goo.gle/BD-BN-dengue, (বাংলা)।
ইউটিউব: সহজে তথ্য পাওয়ার জন্য হোমপেজে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদিত ইউনিসেফের জনসেবা সংক্রান্ত তিনটি ঘোষণা রয়েছে। এ পদক্ষেপগুলো ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ, লক্ষণ সনাক্তকরণ এবং সহযোগিতা বিষয়ক অনুমোদিত তথ্য দিয়ে ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনে সহযোগিতা করেছে।
বাংলাদেশে ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. নিলি কায়ডোস-ড্যানিয়েলস বলেন, ‘বাংলাদেশে এই বছরের ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নজিরবিহীন। ডেঙ্গুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা ও নিরাময় সংক্রান্ত নানা গুজব ও ভুল তথ্যের বিপরীতে সাধারণ মানুষের পক্ষে যথাযথ এবং সঠিক তথ্য পাওয়া ছিল অত্যন্ত কঠিন। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে ভুল তথ্য সহজেই ছড়িয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য দ্রুত পৌঁছানো নিশ্চিত করতে গুগল ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ অন্যান্যদের কাজ প্রশংসনীয়। বেসরকারি খাত এবং সরকারের মধ্যে এই ধরনের অংশীদারিত্ব ডেঙ্গুর মতো জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত দ্রুত, বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। মার্কিন দূতাবাস এমন গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
গুগলের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা) ফারহান কুরেশি বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। আমরা জানি- বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্যতথ্য খুঁজে পেতে বহু মানুষ উদ্বিগ্ন। এই ধরনের মানুষদের সহযোগিতা প্রদানের জন্য গুগলের দারুণ সক্ষমতা রয়েছে। সঠিক ও সময়োপযোগী তথ্যের সন্ধান দিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের সহযোগিতার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউনিসেফ, মার্কিন দূতাবাস এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত।’