ঢাকা | বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ |
২৮ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

ইউএন এসকাপ-এর ৮০তম সম্মেলনে টেকসই উন্নয়নের জন্য স্মার্ট উদ্ভাবন শীর্ষক সাইড ইভেন্ট আয়োজন করে বাংলাদেশ

ইউএন এসকাপ-এর ৮০তম সম্মেলনে টেকসই উন্নয়নের জন্য স্মার্ট উদ্ভাবন শীর্ষক সাইড ইভেন্ট আয়োজন করে বাংলাদেশ
ইউএন এসকাপ-এর ৮০তম সম্মেলনে টেকসই উন্নয়নের জন্য স্মার্ট উদ্ভাবন শীর্ষক সাইড ইভেন্ট আয়োজন করে বাংলাদেশ

ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (ইএসসিএপি) এর ৮০তম সম্মেলনে বাংলাদেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য স্মার্ট উদ্ভাবন: বাংলাদেশ ও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ সাইড ইভেন্ট। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর ব্যাংকক দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সাইড ইভেন্টটিতে ডিজিটাল প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে বাংলাদেশের অদম্য যাত্রা এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এর প্রভাব নিয়ে আলোকপাত করা হয়।

আজ ২২শে এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘের কনফারেন্স সেন্টার-এ অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বাংলাদেশ এবং বৃহত্তর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহের অর্জনকে (এসডিজি) এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে উদ্ভাবনী সম্ভাবনার দিকে দৃষ্টিপাত করার জন্য উপস্থিত অংশীজনদের আহ্বান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা বিশ্বব্যাপী দক্ষিণের দেশগুলোতে সরকারি সেবা ডেলিভারির ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনগুলো দিয়ে সহায়তা করছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই জ্ঞান ও প্রযুক্তির আদান-প্রদান আমাদের সকলকে একসাথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আমরা যখন জাতিসংঘ টেকসট উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো পূরণের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, এরকম প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক আইসিটি ইনোভেশন-আইকিউব ম্যাচিং ফান্ড চালু করেছে, যাতে বৈশ্বিক দেশগুলোর ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করা যায়।’

এসময় প্যানেলে উপস্থিত বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা খুব অল্প সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সাফল্যের পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, যার লক্ষ্য স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি এ চারটি প্রধান পিলারের ওপর ভিত্তি করে ২০৪১ সাল নাগাদ অন্তর্ভুক্তিমূলক, উদ্ভাবনী, টেকসই, জ্ঞান-ভিত্তিক স্মার্ট জাতিতে রূপান্তর করা। তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আইটি/আইটিইএস খাতে ২০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। দেশে প্রায় ৭ লক্ষ আইটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে, তারা গ্রামে থেকে আউটসোর্সিং করছে এবং ২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে।

ফেডারেল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ নেপালের ন্যাশনাল প্লানিং কমিশনের সদস্য ড. রমেশ চন্দ্র পাউডেল বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশের প্রযুক্তির অগ্রগতি উন্নত দেশের অর্থনীতি দ্বারা পরিচালিত উন্নত প্রযুক্তির তুলনায় প্রযুক্তিকে আরও সহজলভ্য করে তুলতে পারে। সেই অর্থে এটি সেই অঞ্চলের জন্য গেম চেঞ্জার কৌশল হতে পারে।

বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় উদ্ভাবন ও ডিজিটাল রূপান্তর সংস্থা এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো: মামুনুর রশীদ ভূঞা এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের সম্মানিত রাষ্ট্রদূত, মোহাম্মদ আবদুল হাই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।

বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোঃ শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী উক্ত অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন এবং কী-নোট বক্তব্য উপস্থাপন করেন এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিশিষ্ট বক্তাদের সমন্বিত একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়- যাতে উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা তাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদানের পাশাপাশি এসডিজি অর্জনের সাথে সম্পর্কিত মূল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় ডিজিটাল উদ্ভাবনের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচকদের মধ্যে ছিলেন- হুর সানওক, প্রেসিডেন্ট, ন্যাশনাল আইটি ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন এজেন্সি, রিপাবলিক অফ কোরিয়া; ড. রমেশ চন্দ্র পাউডেল, অনারেবল মেম্বার, ন্যাশনাল প্লানিং কমিশন, ফেডারেল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ নেপাল; মিসেস আতসুকো ওকুদা, রিজিওনাল ডিরেক্টর, ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন, রিজিওনাল অফিস ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক; আদনান আলিয়ানি, ডিরেক্টর, স্ট্রাটেজি ও প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট ডিভিসন, ইউএন এসকেপ; কেন্ড্রিক ইয়ংহাও চ্যান, সিনিয়র পলিসি এনালিস্ট, পলিসি এন্ড পলিটিক্স, দ্যা টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেইঞ্জ এবং হেড অফ ডিজিটাল ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স প্রজেক্ট, এলএসই আইডিয়াস, দ্য লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স (এলএসই) এবং গের্ড ট্রোজেম্যান, ম্যানেজার , রিজিওনাল প্রোগ্রাম এবং গ্লোবাল পলিসি নেটওয়ার্ক, ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি)।

ইউএন,এসকাপ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend