ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্সকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ষষ্ঠ সেরা উদ্ভাবনী ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ফাস্ট কোম্পানি। তাদের ‘পৃথিবীর সেরা উদ্ভাবনী ব্র্যান্ড ২০২৪’ বার্ষিক তালিকায় ইনফিনিক্সকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
এই স্বীকৃতির মাধ্যমে মোবাইল প্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবন ও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের ক্ষেত্রে ইনফিনিক্স আরও এগিয়ে গেল। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং সাশ্রয়ী দামের ডিভাইস সরবরাহের মাধ্যমে কোম্পানিটি উদীয়মান বাজারের ভোক্তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা ২৬০ ওয়াট ফাস্ট-চার্জিং এবং নয়েজ রিডাকশন ও ফল্যাক্স ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট-এর মতো এআই ফিচার ডিভাইসে যুক্ত করেছে। এতে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে পেরেছে ইনফিনিক্স।
ইনফিনিক্সের জেনারেল ম্যানেজার টনি ঝাও বলেন, ‘এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যতম সেরা উদ্ভাবনী কোম্পানি হিসেবে ফাস্ট কোম্পানি থেকে স্বীকৃতি পাওয়াটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের। সেরা ১০ ব্র্যান্ডের তালিকায় একমাত্র স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে আমরাই স্থান পেয়েছি, এটিও আনন্দের। এই সম্মানের মাধ্যমে আমাদের উদ্ভাবনী কিছু করার আগ্রহ এবং ক্রেতাদের সর্বাধুনিক মোবাইল প্রযুক্তি প্রদানের ক্ষেত্রে আমরা বদ্ধপরিকর।’
ফাস্ট কোম্পানি প্রকাশিত ‘পৃথিবীর সেরা উদ্ভাবনী ব্র্যান্ড’ একটি সম্মানজনক উদ্যোগ। কোম্পানিটি বিভিন্ন খাতে পৃথিবীর সেরা ব্র্যান্ডগুলোকে প্রথমে চিহ্নিত করেন। পরে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্র্যান্ডের মূল্যায়ন করা হয়। এতে স্টার্টআপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিল্পখাতের বড় বড় কোম্পানিও অংশ নেয়।
এ প্রসঙ্গে ফাস্ট কোম্পানি জানায়, ‘গত বছর সারা পৃথিবীতেই স্টার্টআপ ও বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর প্রবৃদ্ধির গতি কিছুটা মন্থর ছিল। তারপরও এই কোম্পানিগুলো এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জের সমাধান দিয়েছে। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন দেশে নিজেদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে।’
এসব অর্জনের মাধ্যমে সফল প্রযুক্তি ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে ইনফিনিক্স গর্বিত। একই সঙ্গে ব্র্যান্ডটি এনভিডিয়া, মাইক্রোসফট, ইউটিউব, ওপেনএআইসহ বিখ্যাত বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানির সঙ্গে একই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত টেক পাওয়ার হাউজ হিসেবে নিজের অবস্থান দৃঢ় করে প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ গড়ে দিচ্ছে ব্র্যান্ডটি।
সম্প্রতি বাজারে আসা ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ উদ্ভাবনী ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে। নোট ৪০ সিরিজে আছে চিতা এক্স১ পাওয়ারড অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জসহ সর্বাধুনিক চার্জিং প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের দ্রুত, কার্যকর ও নিরবচ্ছিন্ন চার্জিংয়ে সাহায্য করে।
শুধু তাই নয়, মার্কেটিং কৌশলের ক্ষেত্রেও ইনফিনিক্সের উদ্ভাবনী চিন্তার পরিচয় পাওয়া যায়। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত (এসটিইএম) এবং কোডিং ক্যাম্প পরিচালনায় সহায়তা করে থেকে এই ব্র্যান্ড। গুগল এবং ইউনেস্কো’র সঙ্গে মিলিত উদ্যোগ থেকে বোঝা যায় যে, ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কোম্পানিটি প্রতিশ্রতিবদ্ধ। উদ্ভাবনে জোর দেয়া ইনফিনিক্স নিয়মিত সর্বাধুনিক পণ্য বাজারে আনছে। এভাবেই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলসহ সারা বিশ্বের প্রযুক্তি শিল্পে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে ইনফিনিক্স।