ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ |
৩৮ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টের বিরোধিতায় ঢাকা-নয়াদিল্লি এক সুর

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টের বিরোধিতায় ঢাকা-নয়াদিল্লি এক সুর
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ ও ভারত

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তৈরি বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টের তীব্র বিরোধিতা করছে ভারত ও বাংলাদেশ। দুই দেশেরই বক্তব্য, মার্কিন রিপোর্টের সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির কোনও সম্পর্ক নেই।

বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, মার্কিন রিপোর্ট অত্যন্ত একপেশে। অন্যদিকে, ঢাকায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন বৃহস্পতিবার বলেন, মার্কিন রিপোর্ট অনির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য সংযোজিত হয়েছে। দৃষ্টান্ত দিয়ে তিনি বলেন, রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। বাস্তব ঘটনা হল, তিনি জেলে বন্দি ছিলেন। মানবিক কারণে তাঁকে বাড়িতে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য, বিশ্বের কোথাও আদর্শ মানবাধিকার পরিস্থিতি নেই। তারমধ্যেই বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সময়ে মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রভূত উন্নতি হয়েছে। সেই ইতিবাচক পরিস্থিতির স্বীকৃতি রিপোর্টে নেই।

গত সপ্তাহে আমেরিকার জো বাইডেনের প্রশাসন বিশ্ব মানবাধিকার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে ভারত ও বাংলাদেশের পরিস্থিতির তীব্র সমালোচনা আছে। ভারতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, সংখ্যালঘুদের অধিকার বিপন্ন বলা হয়েছে। বিবিসির দফতরে আয়কর হানা, গুজরাট দাঙ্গা সংক্রান্ত তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করার ঘটনা তাতে স্থান পেয়েছে।

বাংলাদেশ বিরোধী দলগুলি মানবাধিকার হরণের অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে চলেছে। সে দেশের বেশ কিছু এনজিও মানবাধিকার হরণের অভিযোগে সরব। দুই দেশেরই বক্তব্য, একই অভিযোগ বছরের পর বছর ধরে রিপোর্টে উল্লেখ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে যা মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

এ বছরের গোড়ায় বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনে বিরোধী দলগুলি বিগত বছরের মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মানবাধিকার রিপোর্টকে হাতিয়ার করেছিল। ভারতে লোকসভা ভোট চলাকালে নতুন রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশের মতো ভারত সরকারও মার্কিন রিপোর্টের সঙ্গে সহমত হয়নি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,বাংলাদেশ,ভারত
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend