মনের ভাব প্রকাশ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে ভাষা। বিভিন্ন দেশের ভাষা আলাদা হবার কারণে অন্য ভাষার মানুষের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়া স্বাভাবিক। এ সমস্যার সমাধান করা যাদের পেশা, তারা হচ্ছেন ট্রান্সলেটর ও ইন্টারপ্রেটার।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বড় হওয়ায় ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর সংখ্যা বেড়ে যাবার কারণে ট্রান্সলেটর ও ইন্টারপ্রেটারদের চাহিদা এখন অনেক বেশি। আপনিও চাইলে এ পেশায় আসতে পারেন।
কোন নির্দিষ্ট ভাষার মূল বক্তব্য নতুন কোন ভাষায় প্রাসঙ্গিকভাবে উপস্থাপন করে থাকেন একজন ইন্টারপ্রেটার। সময় ও ধরনের ভিত্তিতে আপনার কাজ আলাদা হলেও মূলত দুই ক্যাটাগরির ইন্টারপ্রেটার হওয়া সম্ভব।
সাইমালটেনাস ইন্টারপ্রেটার: বক্তা কথা বলার সময় সাথে সাথে তার অনুবাদ করতে হবে আপনাকে।
কন্সেকিউটিভ ইন্টারপ্রেটার: বক্তার বক্তব্য শেষ হবার পর আপনি তার অনুবাদ করবেন।
সাধারণত একজন ট্রান্সলেটর কোন বক্তব্যকে অন্য ভাষায় লিখিতভাবে অনুবাদ করেন।
এ দুইটি পেশা খুব ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। কিন্তু এদের মধ্যে সূক্ষ্ম কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন, একজন ইন্টারপ্রেটার উৎসের ভাষাকে মৌখিকভাবে অনুবাদ করেন, আর ট্রান্সলেটর অনুবাদ করেন লিখিতভাবে।
পেশাগত অনুবাদক এবং দোভাষী হওয়ার জন্য কিছু দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজনীয়। অনুবাদের উপর ডিপ্লোমা কোর্স করা একজন সফল অনুবাদক কিংবা দোভাষী হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি সাধারণ ভাষা কোর্স হতে ভিন্ন। অন্তত দুটি ভাষা আয়ত্তে থাকা আবশ্যক। এর মধ্যে একটি হচ্ছে উৎসভাষা এবং অপরটি হচ্ছে লক্ষ্যভাষা। উৎসভাষা হচ্ছে সেই ভাষা, যেই ভাষা থেকে অনুবাদ করতে হবে। আর লক্ষ্যভাষা হচ্ছে সেই ভাষা, যেই ভাষায় অনুবাদটি করতে হবে। হোক সেটা মৌখিক কিংবা লিখিত। অনলাইনে অনুবাদক বা দোভাষীর কাজ করতে হলে প্রয়োজন কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা।
বাংলাদেশের বেশ কিছু প্রশিক্ষণকেন্দ্রে দক্ষ অনুবাদক হওয়ার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক তাদের মাঝে জনপ্রিয় কয়েকটি সম্পর্কে।
ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট একটি বিশ্বভাষার গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এখানে অন্যান্য প্রোগ্রামের পাশাপাশি দক্ষ অনুবাদক তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
লেখক, অনুবাদক, শিক্ষক, মেডিক্যাল ট্রান্সক্রিপ্টর, কোর্ট রিপোর্টার, ট্যুর গাইড ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুবাদক এবং দোভাষীর চাহিদা রয়েছে। চলুন সংক্ষেপে এদের কাজ সম্পর্কে জেনে নেই।