আধুনিক জীবন যাপনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অপরিসীম। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে করেছে উন্নত, জীবনযাপনকে করেছে সহজ। তথ্য-প্রযুক্তি মূলত একটি সমন্বিত মাধ্যম, যা অডিও-ভিডিও, টেলিযোগাযোগ, কম্পিউটারসহ আরো বহু প্রযুক্তির সম্মিলনে দীর্ঘদিন ধরে চর্চার ফলে প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধি লাভ করছে। এর ফলে অসংখ্য নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষণা, যোগাযোগের ক্ষেত্রে নানা ধরনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মোবাইল ফোনের ব্যাপক প্রসারের ফলে প্রধানত প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মতো সারা বিশ্বের যোগাযোগ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানা ধরনের পরিবর্তন সূচিত হচ্ছে।
দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি খাত এগিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে। প্রতি বছর দুটি সেশনে (স্প্রিং ও ফল) ভর্তি নেয়া হয়। প্রোগ্রামটি সারা দেশে আইটি পেশাদারদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা সন্তুষ্ট করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার বিজ্ঞান, যোগাযোগ প্রকৌশল এবং তথ্য প্রযুক্তির বিস্তৃত জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ দেয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল (আইসিই) তথ্য প্রযুক্তির (আইটি) প্রকৌশল শাখা যা সম্প্রতি একটি বিশেষ বিষয় হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে কারণ এটির ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রকৌশলীর এই শাখায়, শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হয় যার অধীনে তারা বেতার সিস্টেম ডিজাইন, রাডার সিস্টেম এবং কম্পিউটেশাল ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক সম্পর্কে জানতে পারে। অন্যান্য দিক যা শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে সেগুলো স্যাটেলাইট যোগাযোগ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কিত যা মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কোর্সের মাধ্যমে, ভয়েস, ভিজুয়াল এবং ডেটা দ্বারা অবিলম্বে সংযোগটি কীভাবে সরবরাহ করতে হয় তা শিক্ষার্থীরা জানতে পারে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী রয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষকই দেশের বাহিরে থেকে ডিগ্রি অর্জনকারী। খন্ড-কালীন শিক্ষকদের মধ্যে বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পাঠ দান করে থাকেন। শিক্ষার্থীদের দেশের প্রথমসারির ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে ইন্টার্নশিপের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবসময় সচেষ্ট। পাশ করার পরে শিক্ষার্থীরা যাতে চাকুরীর বাজারে ভালো করতে পারে সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব রকম সহায়তা প্রদান করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পদ্ধতি পুরটাই হচ্ছে আইটি ভিত্তিক, যা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া আরো সহজ ও আধুনিক করে তুলেছে। বর্তমানে করোনা মহামারীর সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অনলাইন প্লাটফর্ম ব্লেন্ডেড লারনিং সেন্টার (বি এল সি) এর মাধ্যমে সমস্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রয়েছে অত্যাধুনিক ও সমৃদ্ধ ল্যাবরেটরি। এ সম্পর্কে বিভাগীয় প্রধান জনাব তসলিম আরেফিন বলেন “আমাদের ল্যাবে বিশ্বের অত্যাধুনিক ও সমৃদ্ধ যন্ত্রপাতি, পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা এবং প্রয়োজনীয় আধুনিক উপকরণ যথেষ্ট পরিমান রয়েছে। শিক্ষকরা ল্যাব এর বিষয়ে শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট সময় দিয়ে থাকেন।”
ভালো জিপিএ ধারী সহ ভর্তি হবার পর প্রতি সেমিস্টারে ভালো ফলাফল অর্জনকারী মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পর্যায়ে বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়। ভর্তির যাবতীয় তথ্য পেতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ৪/২ সোবাহানবাগ, ধানমন্ডি অথবা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি, আশুলিয়া এই ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন। অনলাইন ভর্তির সুব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজনীয় টেলিফোন নাম্বার সমুহঃ ৪৮১১৩৬৯০-৯১ বর্ধিতঃ ৪৪৪, ৫৫৫। মোবাইলঃ ০১৭১৩৪৩৯০৫০-১, ০১৮৪১৪৯৩০৫০, ০১৭১৩৪৯৩১৪১। ইমেইলঃ [email protected] ওয়েবসাইটঃ www.daffodilvarsity.edu.bd