বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি গ্রাহকের জন্য নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম কালারওএস ১২ এর নতুন ভার্সন নিয়ে এসেছে অপো। স্মার্টফোনে গ্রাহকের নির্ঝঞ্জাট অভিজ্ঞতা দিতে এবারের কালারওএস ১২’তে ইনক্লুসিভ ইউজার ইন্টারফেস, দুর্দান্ত পারফরমেন্স এবং সমৃদ্ধ ফিচার রাখা হয়েছে।
অপো মনে করে, বিশ্বব্যাপী কালাওএস১২ ১২ উন্মোচনের মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ১২’তে চালানো প্রথমদিককার অপারেটিং সিস্টেম হতে যাচ্ছে কালারওএস। অক্সিজেনওএস ও কালারওএস এর সমন্বয়ে তৈরি এ ভার্সন প্রথমে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়ায় অপো ফাইন্ড এক্স৩ তে পাওয়া গেলেও ধীরে ধীরে আরো বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে অপোর।
বিশ্বের ৬৮টি দেশে ৪৪ কোটি মানুষ অপোর কালারওএস ব্যবহার করে থাকে। এর সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হচ্ছে সবকিছু একসাথে কেন্দ্রীভূতকরণ। অপোর ইনফিনিট ডিজাইন ধারণার ওপর ভিত্তি করে গঠিত কালারওএস ঝঁকঝঁকে হালকা-পাতলা। এটি সবচেয়ে বেশি কাস্টমাইজড করা সম্ভব। এর আইকন, এ্যানিমেশন ও তথ্য কাঠামো ভিন্ন ভিন্ন দেশ, ভাষা ও ফোন ফরম্যাটে ব্যবহার করা যায়।
অপোর গবেষণা ও উন্নয়নের প্রধার লক্ষ্যই হচ্ছে সবসময় গ্রাহককে ফোন ব্যবহারে দারুণ অভিজ্ঞতা দেওয়া। কালারওএস তেমনই এক শক্তিশালী মাধ্যম। কালারওএস ১২ সবচেয়ে বেশি নজর দিয়েছে ব্যবহারে স্বস্তি ও স্থায়ীত্বের ওপর। এটি দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারে ফোন ধীরগতির হয় না। এটি আগের চেয়ে ২০ ভাগ কম ব্যাটারি, ৩০ ভাগ কম মেমোরি খরচ করে।
তাছাড়া, কালারওসে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টি পিপিং ফিচার। আরো আছে প্রাইভেসি ড্যাশবোর্ড, লোকেশন শেয়ারিং, ওমোজি, এআই পাওয়ার সেভিং মোড, কালার অ্যাকসেসিবিলিটি, এআই সিস্টেম বুস্টার, কোয়ান্টাম এ্যানিমেশন ইঞ্জিন ৩.০, মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা ইন্ডিকেটর। ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী ৫২টি স্মার্টফোন মডেলে আপডেটের মাধ্যমে ১৫ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে অপোর। এটি যাবতকালের মধ্যে অপোর সবচেয়ে বড় কর্ম পরিকল্পনা।