অর্থ পাচার মামলায় এবার ভিভোর ৩জন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করলো ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের (পিএমএলএ) ধারায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ভিভো ইন্ডিয়া -র সিইও হং জুকুয়ান ওরফে টেরি, চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার হরিন্দর দাহিয়া এবং পরামর্শদাতা বা অ্যাডভাইজ়র হেমন্ত মুঞ্জালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর এনডিভি’র।
এই ঘটনা প্রথম নয় এরআগে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে লাভা ইন্টারন্যাশনালের এমডি হরি ওম রাই, চীনা নাগরিক গুয়াংওয়েন ওরফে অ্যান্ড্রু কুয়াং এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নীতিন গর্গ ও রাজন মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারা বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে ভিভো ইন্ডিয়া -র মুখপাত্র বলেছেন যে, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক উদ্বিগ্ন – কারণ সাম্প্রতিক সময়ে বারবার সংস্থার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার হওয়াটা তাদের প্রতি নিপীড়নের লক্ষণ। এমন ঘটনা ভিভোর ব্যবসায়িক পরিবেশে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করবে বলে তাঁর মত। তবে, ভিভোর তরফে এটাও জানানো হয়েছে যে, তারা ব্যাপারটির মোকাবিলা করতে সবরকম আইনি পদ্ধতি ব্যবহার করছে।
ভিভো কোম্পানি ইতিমধ্যে ভারতে Vivo X100 ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন সিরিজ লঞ্চের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু তার আগে, এই ধরনের পদক্ষেপ লঞ্চ ইভেন্টে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। তাছাড়া সংস্থার ভবিষ্যত যে ঠিক কী হতে চলেছে, কোন পথে তাদের ব্যবসা বাঁক নেবে – সেই নিয়েও প্রশ্ন থাকছে!
২০২৩ সালে জুলাই মাসে ইডি ভিভো-ইন্ডিয়া এবং এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে একটি বড় অর্থ পাচার চক্রের সন্ধান পেয়েছে। ইডি তখন অভিযোগ করেছিল যে ভারতে কর প্রদান এড়াতে ভিভো-ইন্ডিয়া “অবৈধভাবে” ৬২,৪৭৬ কোটি টাকা চীনে স্থানান্তর করেছে। সেই সময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারা ভারতের সকল নীতি মেনে আর্থিক লেনদেন করতো।
ভিভোর সহযোগী সংস্থা গ্র্যান্ড প্রসপেক্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেড (জিপিআইসিপিএল), এর পরিচালক, শেয়ারহোল্ডার এবং আরও কয়েকজন পেশাদারের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দিল্লি পুলিশের এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেইসময় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রনালয় পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল যে জিপিআইসিপিএল এবং এর শেয়ারহোল্ডাররা ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার সময় “জাল” পরিচয়পত্র এবং “জাল” ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন।