রেটিংস, ডাউনলোড সংখ্যা ও ব্যবহারকারীর ভিত্তিতে ডকটাইম এখন দেশের ১ নম্বর হেলথকেয়ার সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাপ।সম্প্রতি প্লে স্টোরে ১ মিলিয়ন ডাউনলোডের মাইলফলক অতিক্রম করার গৌরবও অর্জন করেছে ডকটাইম।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যুগোপযোগী চাহিদা পূরণে দেশের প্রতিটি খাতে এখন প্রয়োজন স্মার্ট সমাধান। তাই স্মার্ট হেলথকেয়ার সার্ভিস নিয়ে ডকটাইম এখন শহর থেকে গ্রাম, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগ,৬৪টি জেলা এবং ৮৭২২৩টি গ্রামের সর্বত্র শ্বাস অর্জন করেছে সর্বস্তরের মানুষের। ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে অর্জন করেছে 8.৭ রেটিং, যা দেশের হেলথকেয়ার সার্ভিস প্রোভাইডার আ্যাপসমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তাকে এগিয়ে নিতে ডকটাইম এনেছে একটি পূর্ণাঙ্গ হেলথকেয়ার সার্ভিস। এক আযাপেই এখন মানুষ ঘরে বসেই পাচ্ছে সকল স্বাস্থ্যসেবা। ডকটাইম অ্যাপে রয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল ত্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি) নিবন্ধিত ১২০০-এর বেশি অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। একজন রোগী তাঁর প্রয়োজন অনুযায়ী ডাক্তার খুঁজে নিয়ে ভিডিও কলে কলসালটেশন নিতে পারবেন।
কনসালটেশন শেষে অ্যাপের মধ্যেই ডাক্তার তাৎক্ষণিক প্রেসক্রিপশন আপলোড (ই-প্রেসক্রিপশন) করে দেবেন। প্রেসক্রাইবকৃত ঔষধ খুঁজতেও বাইরে যেতে হবে না। ডকটাইমের হোম মেডিসিন ডেলিভারির মাধ্যমে ঘরে বসেই দ্রুততম সময় পাওয়া যাবে সব রকম ঔষধ।
প্রেসক্রিপশনে প্রয়োজনীয় ডায়াগনস্টিক টেস্টের উল্লেখ থাকলে, সেটাও করা যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমেই। ডকটাইম-এর রয়েছে দেশব্যাপী হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে ঘরে বসেই ডায়াগনস্টিক টেস্ট অর্ডার করা সহজ হয়েছে। দেশসেরা সব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অভিজ্ঞ ল্যাব টেকনিশিয়ানদের মাধ্যমে ঘরে অথবা যেকোনো জায়গা থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রিপোর্ট হোম ডেলিভারি করা হয়। পূর্ববর্তী কনসালটেশন হিস্টোরি, প্রেসক্রিপশন এবং টেস্ট রিপোর্টও আযাপের ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ডে সংরক্ষিত থাকে।
এর বাইরেও ডকটাইম-এ রয়েছে আরো কিছু স্বাস্থ্যসেবা। অনেকেই ঔষধ খেতে ভুলে যান; তাই এই ত্যাপে রয়েছে মেডিসিন রিমাইন্ডার, যা মনে করিয়ে দেবে ঔষধ খাওয়ার সময়। এছাড়া ব্যক্তি পর্যায় থেকে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক, সকল স্তরের মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য ডকটাইমের আকর্ষণীয় হেলথ কেয়ার প্যাকেজ স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে থাকে।
করোনা পরিস্থিতিতে যখন মানুষ ঘরবন্দী ছিলো, সে সময় মানুষের ঘরে ঘরে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়ে ডকটাইম অর্জন করেছে আস্থা। শহর থেকে গ্রাম, সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য সহজে ব্যবহারযোগ্য এই আ্যাপ দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে গিয়েছে যেকোনো শারীরিক সমস্যায়, ঘরে বসেই। ডকটাইমের মোট ব্যবহারকারীর ৫৮% রোগীই গ্রামাঞ্চলের । যেকোনো শারীরিক অসুস্থতায় তারা নির্ভর করে সন্তুষ্ট থাকছেন ডকটাইমের উপর। এছাড়া ডকটাইমে প্রতিদিন যত ডাক্তার কনসালটেশন নেওয়া হয়, এরমধ্যে ৫8% নারী ও শিশু। গাইনী এবং শিশুরোগ চিকিৎসায় অভিজ্ঞ ডাক্তারের ব্যাপক চাহিদার যোগান দিতে সবসময় পাশে থাকছে ডকটাইম। সহজে ব্যবহারযোগ্য আ্যাপ হওয়ায়, পঞ্চাশোর্ধ বয়সের মানুষের কাছে ডকটাইম হয়ে উঠেছে নির্ভরতার জায়গা। এ কারণেই ডকটাইমের ১৫% ব্যবহারকারীই হচ্ছেন পঞ্তশোর্ধ, যারা নানা শারীরিক সমস্যায় সবসময় ভিডিও কনসালটেশনের মাধ্যমে যুক্ত হচ্ছেন ডকটাইম এর প্লাটফর্মে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সঙ্গে।
ডকটাইমের প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার হোসেন পড়াশোনা করেছেন এনসিসি এডুকেশন, ইউকে এর অধীন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি ও যুক্তরাজ্যে। দেশের মানুষের কল্যাণে কিছু করার স্বপ্নে বিভোর এই তরুণ প্রযুক্তিবিদ এবং উদ্যোক্তা ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা শিল্পে এক বিপ্লব ঘটিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে ডকটাইম এখন ১ মিলিয়ন মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে।
২০১৮ সালে পথচলা শুরু করেছিল ডকটাইম। বর্তমানে আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অভিজ্ঞ ও দক্ষ আইটি প্রফেশনালস, ডিজিটাল মাকে্টার্স, অপারেশন, ক্লায়েন্ট সার্ভিস এবং ই-কমার্সের বিশাল একটি টিম আন্তর্জাতিক মানের ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে দিন-রাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তরুণ এই উদ্যোক্তার হাত ধরেই ডিজিটাল টেলিহেলথ সার্ভিসে শীর্ষস্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে ডকটাইম।
শুধু ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা দিয়েই ডকটাইম থেমে থাকেনি। সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সমাজসেবামূলক কাজও করছে। মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্রশীল ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করছে মেন্টাল হেলথ সেশন, ফ্রি হেলথ চেক আপসহ আরো অনেক স্বাস্থ্যসেবা। এসব সেশনে দেশের প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থেকে প্রশ্নোত্তর পর্বসহ মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া প্রতি বছরই শীতের সময় অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পালন করে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে নিয়মিতভাবে হেলথ ক্যাম্পের আয়োজন তারা শুরু থেকেই করে এসেছে।
নারী উদ্যোক্তাদের স্বল্প খরচে চিকিৎসা সেবা দেওয়া, কিশোরী বয়সী নারীদের মেয়েলি সমস্যা ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়ার্কশপ, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন, রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে কষ্ট পাওয়া রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা বিতরণ, জেনেভা ক্যাম্পে বসবাসরত সুবিধাবঞ্চিতদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া এবং উপকূলীয় এলাকায় উচ্চ রক্তচাপ মোকাবেলায় আইসিডিডিআর,বি"র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গবেষণামূলক কাজে অংশ নেওয়াসহ সমাজে প্রভাব ফেলার মতো বিভিন্ন কল্যাণকর কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ডকটাইম।
ডকটাইম বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের যৌথ উদ্যোগ ও বিনিয়োগে গড়ে উঠেছে। এর কার্যক্রম ঢাকা ও লন্ডনস্থ কার্ধালয় থেকে পরিচালিত হয়। স্মার্ট বাংলাদেশে, স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবার অঙ্গীকার নিয়ে ডকটাইম এগিয়ে চলছে অপার সম্ভাবনায়,নিজস্ব মহিমায় ও নিজস্ব গতিতে।