বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট এর যাত্রা শুরু হয়েছে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ জন্ম বার্ষিকি উপলক্ষে। উদ্যোক্তাদের এবং স্টার্টআপদের জন্য তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলো প্রদর্শন করা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক সহোযগিতা পাওয়ার অনন্য সুযোগ প্রদান করে থাকে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ)। তাছাড়াও বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ) বিজয়ী স্টার্টআপদের দিয়ে থাকে মেন্টরশীপ, অফিস স্পেস সহ আরও অনেক সুযোগ সুবিধা।
এবছর ৩য়বার এর মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ) প্রতিযোগিতা, যেখানে অংশগ্রহণ করেছে সাত হাজার স্টার্টআপ। টয়ো একটি স্টেম এবং অগমেন্টেড রিয়্যালিটিভিত্তিক টয়/এডুকেশনাল টুল ম্যানুফ্যাকচারিং স্টার্টআপ যাকে ১৭ই জুন শনিবার ওসমানি মেমোরিয়াল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ) ২০২৩ - এর গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে সেরা ৫২ টি বিজয়ীর তালিকায় ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘ ৩ মাস ব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় সাত হাজার প্রতিযোগিদের নিয়ে একের পর এক বাছাই পর্বের মাধ্যমে সেরাদের সেরা শীর্ষ ১০ এ নাম লিখাতে সক্ষম হয়েছে টয়ো এবং সেরা ৫২ টি স্টার্টআপকে দেয়া হয়েছে সর্বমোট সাত কোটি টাকার অনুদান।
টয়োর যাত্রা শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে যখন টয়োর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পরিচালক, ভবিষ্যতমুখি ও উদ্ভাবনে অনুপ্রাণিত তরুণী সাবমীহাল সাইকা বাচ্চাদের খেলার মাঝে শিক্ষনীয় পরিবর্তনের জন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রযুক্তি জগতে প্রবেশ করার সিদ্ধান্ত নেন। তার উদ্ভাবনী অভিপ্রায় থেকে টয়ো নিয়ে এসেছে বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো সম্পুর্ণ লোকালি ম্যানুফ্যাকচারড্ স্টেম খেলনা যেখানে ব্যাবহার করা হয়েছে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিস। টয়ো শুধুমাত্র এখানেই সিমিত নয়, তারা অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের জন্য নিয়ে এসেছে ইউনিক স্টেম কিট এবং অগমেন্টেড রিয়্যালিটিভিত্তিক টয়/এডুকেশনাল টুল যা তাদের বৈশম্মতার সাথে কাস্টমাইজ করে দেয়ার সুযোগ রয়েছে, যেনো তাদের কগ্নেটিভ স্কিল ডেভেলপমেন্টে সহায়তা করতে পারে। তাছাড়াও টয়ো সকল বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক ইন্টারএকটিভ ইভেন্ট এবং ওয়েলনেস সেমিনার আয়োজন করে থাকে।
টয়োর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পরিচালক, সাবমীহাল সাইকা, বলেন, "আমরা সবসময় বিশ্বাস করেছি আমাদের বাচ্চারা স্মার্ট হলেই গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এই কনসেপ্ট থেকেই স্মার্ট বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির উপর প্রভাব ফেলতে আমরা বিজ্ঞান ভিত্তিক উদ্ভাবনী এবং সৃজনশীল স্টেম কিট এবং অগমেন্টেড রিয়্যালিটিভিত্তিক টয় নিয়ে এসেছি সকল মেধার বাচ্চাদের জন্য।" সাবমীহাল সাইকা ব্যাচেলর করেছেন দেশের শীর্ষ স্থানিয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপ নিয়ে মার্কেটিং ও ইনফরমেশন সিস্টেমস্ এ এবং বর্তমানে স্কলারশিপ নিয়ে জার্মানি থেকে মাস্টার্স করছেন এআই ও ড্যাটা সায়েন্সে।
বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, সালমান এফ রহমান এমপি সহ অনেক গনমন্য অতিথিবৃন্দ এই গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির যথাযথ নির্দেশনায়, বিআইজি প্ল্যাটফর্ম ইতিমধ্যেই আইডিইএ প্রকল্পের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতিশীল স্টার্টআপকে অর্থায়ন করেছে এবং পরবর্তী প্রজন্মের উদ্ভাবকদের সমর্থন অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত আছে বাংলাদেশ আইসিটি বিভাগ।