ঢাকা | সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ |
৩২ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

টিকটকে ‘বেশি লাইক পায়’ যৌন বৈষম্যপূর্ণ কমেন্ট: গবেষণা

টিকটকে ‘বেশি লাইক পায়’ যৌন বৈষম্যপূর্ণ কমেন্ট: গবেষণা
টিকটকে ‘বেশি লাইক পায়’ যৌন বৈষম্যপূর্ণ কমেন্ট: গবেষণা

টিকটকের ভিডিও’তে দায়িত্বশীল কমেন্টের চেয়ে ‘সেক্সিস্ট’ কমেন্ট বেশি জনপ্রিয়, আর এসব কমেন্ট পুরুষরাই বেশি করেন বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়।

যুক্তরাজ্যে আয়োজিত ‘সাইকোলজিকাল সোসাইটি’স সাইবারসাইকোলজি সেকশন কনফারেন্স’-এর তথ্য অনুসারে, টিকটকে প্রতিটি সেক্সিস্ট কমেন্ট গড়ে ছয়শ’র বেশি লাইক পেয়েছে, যেখানে ‘নন-সেক্সিস্ট’ কমেন্ট পেয়েছে কেবল ৩৭৫টি লাইক।

সামাজিক মাধ্যমটির তথাকথিত চারটি ‘চ্যালেঞ্জ ভিডিও’ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্ল্যাটফর্মে সাধারণ কমেন্টের তুলনায় সেক্সিস্ট কমেন্টে সম্পৃক্ততা ৬০ শতাংশ বেশি।

এ গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া ড. জেনাভি ব্রাউন বলেন, পুরুষের তুলনায় নারীদের ভিডিও’তে সেক্সিস্ট কমেন্টের প্রবণতা বেশি। আর এমন মন্তব্যে পোস্টদাতার ওপর মানসিক প্রভাব পড়ার ঝুঁকিও রয়েছে।

“সেক্সিস্ট কমেন্টে সাধারণ কমেন্টের চেয়ে বেশি লাইক পড়ার ঘটনা আমাদের চমকে দিয়েছে। আমদের ধারণা ছিল, ব্যবহারকারীরা এমন বৈষম্যমূলক মন্তব্যে লাইক না দিয়ে বরং এর নিন্দা করবেন। অথচ, এর বিপরীত চিত্রই দেখা গেছে গবেষণায়।” --বলেন তিনি।

ব্রাউনের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, এই ধরনের কমেন্ট পুরুষরা বেশি করলেও নারী-পুরুষ উভয় পক্ষই একই ধরনের বৈষম্যমূলক মন্তব্য করে থাকেন।

গবেষকরা টিকটকের চারটি ভিন্ন ‘চ্যালেঞ্জ হ্যাশট্যাগ’ থেকে চারশটি ভিডিও’র নমুনা পরীক্ষা করেছেন। হ্যাশট্যাগগুলো হল ‘#cakechallenge’, ‘#bottleflip’, ‘#thorshammer’ ও ‘#chairchallenge’, যেখানে প্রতি ভিডিও’র লাইক, শেয়ার, ভিউ ও কমেন্ট বিশ্লেষণ করেছেন তারা।

এই চার চ্যালেঞ্জের সর্বমোট সাত হাজার ৬৮৮টি কমেন্ট বিশ্লেষণ করা হয়, যেখানে ১৩ শতাংশের বেশি ছিল বৈষম্যমূলক।

এর মধ্যে কেক চ্যালেঞ্জে ব্যক্তির নিতম্বের আকারে মনযোগ ছিল বেশি। আর তিনি মাটিতে উপুর হয়ে শুয়ে থাকার সময় ‘ওয়েট বার’ তাদের ওপর দিয়ে চলে যায় কি না, তা পরীক্ষা করা হয় এতে। এ চ্যালেঞ্জে সেক্সিস্ট কমেন্টের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি (২৮ শতাংশ)।

‘ইউনিভার্সিটি অফ নর্দামব্রিয়া’র মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ব্রাউন বলেন, “কেক চ্যালেঞ্জের লক্ষ্য থাকে, ওই বার যেন আপনার নিতম্ব পেরিয়ে চলে না যায়। বারটি থামানোর জন্য আপনার নিতম্ব কিম কার্দাশিয়ানের মতো বড় হতে হবে।”

তিনি বলেন, থর চ্যালেঞ্জে ভারী এক ধাতব বারের এক প্রান্ত ধরে গোটা বারটি তোলার মাধ্যমে পেশিশক্তি পরীক্ষা করা হয়। এতে পুরুষদের অপদস্থ করার প্রবণতা বেশি। তিনি আরও যোগ করেন, “বোঝাই যাচ্ছে, এমন অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক চ্যালেঞ্জের কারণে নারী ও পুরুষ উভয়ই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।”

কেক চ্যালেঞ্জে ‘লেডিস, লেডিস, এটা আকারের বিষয়। আর কত বড় হলে আপনাদের বেশি বড় মনে হবে’ - এমন মন্তব্য বা ‘ছেলেরা এটা ভালো করতে পারে’ এমন মন্তব্যও দেখা গেছে।

টিকটক,যৌন বৈষম্যপূর্ণ,লাইক,সেক্সিস্ট কমেন্ট
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend