ঢাকা | সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ |
২০ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

চালু হলো অনলাইন কজলিস্ট, জুডিসিয়াল মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং আমার আদালত (মাইকোর্ট) অ্যাপ

চালু হলো অনলাইন কজলিস্ট, জুডিসিয়াল মনিটরিং ড্যাশবোর্ড  এবং আমার আদালত (মাইকোর্ট) অ্যাপ
চালু হলো অনলাইন কজলিস্ট, জুডিসিয়াল মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং আমার আদালত (মাইকোর্ট) অ্যাপ

দেশের উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতসমূহের বিচারিক সেবা ও তথ্য প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করতে বিদ্যমান সেবাসমূহকে ডিজিটাল সেবায় রূপান্তর এবং বিচারক ও বিচার সহায়ক কর্মচারীদের তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চালু হয়েছে অনলাইন কজলিস্ট, জুডিসিয়াল মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং এবং মাইকোর্ট অ্যাপ।

এটুআই-এর কারিগরি সহযোগিতায় আইন ও বিচার বিভাগ এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ কর্তৃক রাজধানীর একটি হোটেলে শনিবার আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, এমপি উক্ত অনলাইন সেবাসমূহের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর আবাসিক প্রতিনিধি জনাব সুদীপ্ত মুখার্জি স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর জনাব আনীর চৌধুরী অনলাইন বিচারিক সেবাসমূহের বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপনা প্রদান করেন।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, এমপি বলেন, চলতি অর্থবছরে আইন ও বিচার বিভাগ এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খাতে আমরা প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আজকে তিনটি ডিজিটাল সেবা উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আমাদের এই যাত্রা শুরু হলো। সারাদেশের বিচারিক ব্যবস্থাটাকে সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর করে স্বল্প সময়ে ও খরচে মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বিচারক ও আইনজীবীদের কাজকে সহজ করতে ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এটুআই, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, সুপ্রীমকোর্ট এবং আইন ও বিচার বিভাগ একত্রে গত কয়েক বছরে এই প্রকল্পের নতুন একটি মডেল তৈরি করেছে। প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই হাজার কোর্টরুমকে ডিজিটাইজড করা হবে। যেখানে অডিও রেকর্ডিং পুল সিস্টেম থাকবে পাশাপাশি ভার্চুয়াল ট্রাইবুনাল হবে। এছাড়া ১৪টি কেন্দ্রীয় জেল এবং জেলাপর্যায়ে ৬৪টি ট্রায়ালরুমকে যুক্ত করা হবে। বিচারিক ব্যবস্থার সকল তথ্যকে নিরাপদ একটা সিস্টেমের মধ্যে যোগাযোগের জন্য আমাদের নিজস্ব বৈঠক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হবে। আদালত ও ব্যবসায়িক লেনদেনের সকল ধরনের তথ্য-উপাত্ত দেশের মাটিতেই সংরক্ষণ করতে আমরা ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট করছি।

আইন সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার বলেন, ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে সকলের জন্য বিচারিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইন ও বিচার বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বিচারিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে আজ অনলাইন কজলিস্ট (মামলার কার্যতালিকা), জুডিসিয়াল মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং আমার আদালত (মাইকোর্ট) মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। এছাড়াও আইন ও বিচার বিভাগের একটি টেকসই ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে বর্তমানে ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। যার মাধ্যমে কার্যকর এবং দায়বদ্ধ বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিচারিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে অনলাইন কজলিস্ট (মামলার কার্যতালিকা), জুডিসিয়াল মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং আমার আদালত (মাইকোর্ট) মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। কোন নির্দিষ্ট কার্যদিবসে আদালতে বিচারাধীন মামলার তালিকা জনগণ কিংবা বিচার সংশ্লিষ্ট যেকেউ causelist.judiciary.org.bd ওয়েবসাইট ও আমার আদালত (মাইকোর্ট) মোবাইল অ্যাপ ভিজিট করে তাঁর মামলার সর্বশেষ তথ্যাদি পাবেন। ওয়েবসাইটে প্রথমে সংশ্লিষ্ট বিভাগ, পরে জেলা এবং সর্বশেষ সংশ্লিষ্ট আদালতের নাম সিলেক্ট করে বিচারপ্রার্থীগণ তাঁদের মামলার সর্বশেষ আদেশ, পরবর্তী তারিখ এবং মামলার অবস্থা জানতে পারবেন।

জুডিসিয়াল মনিটরিং ড্যাশবোর্ড বা বিচার বিভাগীয় ড্যাশবোর্ড-এর মাধ্যমে অধস্তন আদালতসমূহে বিচারাধীন এবং নিষ্পত্তি হওয়া মামলা সম্পর্কিত সকল ধরনের উপাত্ত সংগ্রহ, প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করা হবে। এতে অধস্তন আদালতের মনিটরিং ও ট্র্যাকিং সিস্টেম হিসেবে এর মাধ্যমে আদালতসমূহের প্রকৃত অবস্থা, বিচারকর্মের গতি-প্রকৃতি এবং বিচারিক নানান পরিসংখ্যান জানা যাবে।

বিচারপ্রার্থীসহ সর্বস্তরের জনগণ, বিচারকগণ এবং আইনজীবীবৃন্দ স্ব-স্ব প্রয়োজনে আমার আদালত (মাইকোর্ট) মোবাইল অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন। অ্যাপটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীগণ অধস্তন আদালতের জন্য প্রস্তুতকৃত সকল ডিজিটাল সেবাসমূহ গ্রহণ করতে পারবেন। বিচারক, আইনজীবী এবং জনসাধারণ পৃথকভাবে এই অ্যাপের বিভিন্ন ফিচারগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। গুগল-প্লে-স্টোর থেকে আমার আদালত (মাইকোর্ট) সার্চ করে যেকেউ এই অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ইউএনডিপি বাংলাদেশ, এটুআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিজ্ঞ বিচারকগণ ও আইনজীবী এবং গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইন কজলিস্ট,জুডিসিয়াল মনিটরিং ড্যাশবোর্ড,আমার আদালত,মাইকোর্ট অ্যাপ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend