এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর সংস্থা এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশনের (অ্যাসোসিও) দুটি পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অনুষ্ঠিত অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট ২০২৩-এ আউটস্ট্যান্ডিং টেক কোম্পানি বিভাগে ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেডে ও বাংলাদেশের অ্যাগ্রো ইনোভেশন বিভাগে টেকগারলিক এ পুরস্কার পেয়েছে। অনুষ্ঠানে ৬টি বিভাগে মোট ৫২টি পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অ্যাসোসিওর চেয়ারম্যান ব্রায়ান সিন। অনুষ্ঠানে এশিয়ার ২৪টি দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী শেষে অ্যাসোসিওর চেয়ারম্যান ব্রায়ান সিন বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল এশিয়ার ঘোষণা দিয়েছি আজ। আমরা এশিয়ার সব কটি দেশ একসঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সংযুক্ত হতে চাই। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়তে চাই।’
অ্যাসোসিওর আজীবন চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা খাতের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ এইচ কাফি বলেন, ‘বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পাওয়ায় বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা কিছুটা হলেও তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু আরও বেশি সক্ষমতা প্রমাণের জন্য আমাদের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে।’
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, ডিজিটাল এশিয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে আজ। ফলে এশিয়ার ২৪টি দেশ একসঙ্গে ডিজিটাল এশিয়ার উন্নয়নে কাজ করবে। ডিজিটাল এশিয়ায় বাংলাদেশেরও কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে যে দুটি প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পেয়েছে, এটা স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় অর্জন।
অ্যাসোসিও পুরস্কার পাওয়া ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদ শরিফ বলেন, ‘সারা বিশ্বে এখন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নাম ছড়িয়ে গেছে। আমরা ডিজিকন পরিবার স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য যে কাজ করে যাচ্ছি, এই পুরস্কার আমাদের কাজের আগ্রহকে বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা আমাদের প্রযুক্তিকে সারা বিশ্বে তুলে ধরতে পেরেছি। আজকের এই পুরস্কারের জন্য অ্যাসোসিওকে অনেক ধন্যবাদ।’
অ্যাসোসিও পুরস্কার পাওয়া টেকগারলিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘এই পুরস্কার আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। গত বছরের নভেম্বরে প্রথম আলোতে “কৃষিজমিতে সেচের পানির সমবণ্টন করতে ওবায়েদের প্রযুক্তি” শিরোনামে আমাদের সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই দেশ-বিদেশের অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এই প্রকল্পের জন্য আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার পেয়েছি। এবার ২৪টি দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পুরস্কার পেলাম। আমি এই পুরস্কার বাংলাদেশের কৃষকদের উৎসর্গ করলাম।’