ছয় খলনায়কের নিয়ন্ত্রণে ছিল আইসিটি মন্ত্রণালয়। তাদের সর্দার ছিলেন খোদ সজীব ওয়াজেদ জয় নিজেই। বিদেশে বসে থেকেই ‘নগদ’ স্বত্বাধিকারী তানভীর মিশুক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক ডেপুটি প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, দেবীদ্বারের এমপি আবুল কালাম আজাদ, চট্টগ্রামের যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটকে দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন।
বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অন্যদের বিষয়ে তথ্য দিলেও নিজের দুর্নীতির বিষয়টি কবুল করছেন না তিনি। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে রিমান্ডে রয়েছেন।
তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের নামে একের এক প্রকল্প নিয়ে বাজেট থেকে শত শত কোটি টাকা লোপাট করেছেন। প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর নিজের ব্যক্তিগত সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ। এ খাতে ছিল না কোনো জবাবদিহি। স্বচ্ছতারও কোনো বালাই ছিল। কেননা পলক সব কাজই করতেন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে। সরাসরি জয়ের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে কেউ কোনো কথা বলারও সাহস করতেন না। ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ আর তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের নামে গত কয়েক বছরে হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন পলক।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি পর্যালোচনা সভায় জানানো হয় ২০১০ সাল থেকে আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেও আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি।
একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, পলক ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে অবৈধভাবে অর্জিত হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরেও পাচার করতে নগদের স্বত্বাধিকারী তানভীর মিশুকও নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের মাধ্যমে সজীব ওয়াজেদ জয় এর কাছে পাঠাতেন।
‘নগদ’ এর স্বত্বাধিকারী তানভীর মিশুক ছিলেন দেশের ডিজিটাল মুদ্রা ডন । দেশে দুর্নীতি করে আয়ের টাকা দেশের বাইরে পাঠানোর কাজ করতেন মিশুক। জয়ের নাম ভাঙিয়ে ক্রসফায়ার ও গুম করার ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতেন নগদের মিশুক । সিরাজগঞ্জ শপের ৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা মিশুকের পকেটে ঢুকে ২০২১ সালে।