ঢাকা | শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ |
৩১ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগে সতর্ক সরকার: হাছান মাহমুদ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগে সতর্ক সরকার: হাছান মাহমুদ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগে সতর্ক সরকার: হাছান মাহমুদ

দেশের মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দিতে গিয়ে যেনো ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অপপ্রয়োগ করা না হয় সে জন্য সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এই আইনের মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা মুক্তবুদ্ধির চর্চা এগিয়ে নিতে সরকার সতর্ক রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চলছে। এমন পরিস্থিতি থেকে দেশের সকল নাগরিককে সুরক্ষিত রাখতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ডিজিটাল সুরক্ষা আইন করা হয়েছে। আমাদের আইনের চেয়ে কঠোর আইনও বিভিন্ন দেশে রয়েছে।‘

অপরদিকে সাইবার জগতে প্রতিদিন গড়ে ২২৪৪টি অপরাধ সংঘটিত হয় জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, নাগরিকের সাইবার নিরাপত্তার পাশাপাশি ডিজিটাল আর্থিক খাতের নিরাপত্তা শিগগিরি ‘ফিনসার্ট’ গঠন করা হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ২০১৮ এর প্রভাব ও বাস্তবতা নিয়ে মঙ্গলবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু গার্ডেনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এসব কথা বলেন দুই মন্ত্রী।

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে জাতীয় নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করতে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণীত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’ শীর্ষক আইনের প্রকৃত উদ্দেশ্য ও সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক প্রচলিত সন্দেহ ও ভুল ধারণা দূরীকরণের লক্ষ্যে মঙ্গলবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে 'ডিপ্লোম্যাটস ওয়ার্ল্ড পাবলিকেশন' এর উদ্যোগে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ - বাস্তবতা ও প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইউরোপীয় দেশগুলোতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যদি কেউ মিথ্যা তথ্য প্রদান করে, গুজব ছড়ায় বা কারো চরিত্র হনন করে, তাহলে ঐ প্লাটফর্মকে জরিমানা করা হয়। আমাদেরও বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।‘ তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব মানুষের নিরাপত্তার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন। পৃথিবীর প্রায় সব দেশই এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। গৃহীনি, কৃষক, ছাত্র, লেখক, বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক, চাকুরিজীবি, ব্যবসায়ী সকলের নিরাপত্তা দিতেই সময়ের প্রয়োজনে এই আইন করা হয়েছে।

অপরদিকে সভাপতির বক্তব্যে সাইবার নিরাপত্তার পাশাপাশি ডিজিটাল আর্থিক খাতের নিরাপত্তা শিগগিরি ‘ফিনসার্ট’ গঠন করার কথা জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, সুরক্ষা ব্যয়বহুল বিষয় নয়, এটি অমূল্য। কিন্তু এই মন্তব্য করে ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে সমাজে অরাজকতা-বিশৃঙ্খলা বন্ধে আইনের কোন বিকল্প নেই’।

তার ভাষায়, নাগরিক তথা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ২০১৮ প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা হচ্ছে। ব্যক্তির বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করে এই আইনের অধীনে নাগরিকের সুরক্ষা ও আত্মমর্যাদা সমুন্নত করা হচ্ছে।‘

তিনি আরো বলেন, ‘ইন্টারনেটের মাধ্যমে অবাধ সংযুক্তির সুবিধা নিয়ে প্রায়শই দেশের মত প্রকাশের স্বাধীনতার অপব্যবহার হয়ে থাকে। এতো দুর্ভোগের শিকার হন কোটি মানুষ। তাই বাস্তব জীবনের মতো ডিজিটাল জীবনের নিরাপত্তার জন্যই ডিজিটাল সুরক্ষা আইনের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। বস্তুত সাইবার সুরক্ষা নাগরিকের মৌলিক অধিকার, গৌণ বিষয় নয়’।

সেমিনারের উদ্বোধনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন সেলট্রন ইলেক্ট্রো ম্যানুফ্যাকচারিং সার্ভিস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ‘ডিপ্লোম্যাটস’ এর সহযোগী সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ ফাউজুল মুবিন। অনুষ্ঠানে মত প্রকাশ স্বাধীনতার ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, সামাজিক অপরাধ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আলি আসিফ খান রাজীব ও ব্যক্তি পর্যায়ের অপরাধ প্রবণতা নিয়ে প্রযুক্তি ও আইনি বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার এস এম সাইফুল্লাহ রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। মাসিক ম্যাগাজিন ‘ডিপ্লোম্যাট’ ও সেলট্রনের যৌথ উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন,অপপ্রয়োগে,হাছান মাহমুদ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend
Vention