আত্মীয় পরিজনের গলার আওয়াজের হুবহু একটি ভয়েস পাঠিয়ে প্রতারণা করার চেষ্টা আপনার সঙ্গে হতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে এই জালিয়াতি এতটাই নিখুঁত ভাবে করা হচ্ছে যে সাধারণ মানুষের পক্ষে তা ধরা অসম্ভব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এই প্রযুক্তি কী ভাবে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে চলছে গবেষণা। কিন্তু এই প্রযুক্তিকে অসাধু কাজে লাগিয়ে তা দিয়ে অপরাধমূলক কাজ করা হচ্ছে। গলার আওয়াজ নকল করে হচ্ছে প্রতারণা যাকে বলা হয় এআই ভয়েস ক্লোনিং।
সম্প্রতি এমনই এক জালিয়াতির খপ্পরে পড়েন ভারতের হরিয়ানার এক ব্যক্তির। তাঁর এক বন্ধুর গলার আওয়াজ নকল করে ৩০,০০০ টাকা হাতিয়েছে সাইবার অপরাধীরা।ম্যাকাফির-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ৮৩ শতাংশ ভারতীয় এআই ভয়েস ক্লোনিংয়ের ফাঁদে পড়ে বিপুল টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
কী ভাবে সতর্ক?
কয়েকটি বিষয় রয়েছে যা মাথায় রাখলেই বাঁচতে পারবেন ভয়েস ক্লোনিং প্রতারণা থেকে।
অজানা কল থেকে সাবধান
যখনই অজানা নম্বর থেকে কল আসবে তখন তার আইডেন্টিটি যাচাই না করা অবধি তা ধরবেন না। পাশাপাশি কেউ যদি টাকা বা ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার কথা বলে তখন তার পরিচয় না জানা অবধি নিজের ব্যাঙ্কিং তথ্য,ওটিপি কখনই শেয়ার করা উচিত না। নিশ্চিত হওয়ার পরই সেই লেনদেন করতে পারেন।
গলার আওয়াজ মন দিয়ে শুনুন
উক্ত গলার আওয়াজ যদি রোবোটিক বা মেশিন থেকে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে হয় তাহলে তৎক্ষণাৎ সতর্ক হতে হবে। শুধু গলার আওয়াজ নয় তার শব্দের উচ্চারণ মনোযোগ দিয়ে শুনলেই ফারাক চিনতে পারবেন।
নিজের গলার আওয়াজ কখনও যোগ করবেন না
ইন্টারনেটে থাকা মানুষের আওয়াজ নিয়ে তা ক্লোন করা খুবই সহজ । এর জন্য বর্তমানে একাধিক এআই টুল রয়েছে। তাই কোনও পাবলিক প্ল্যাটফর্মে নিজের গলার আওয়াজ অর্থাৎ ভয়েস রেকর্ড আপলোড করবেন না।
বড় কোনও লেনদেন করার আগে দুবার ভাবুন। বিপদে পড়ায় ভয়েস পাঠিয়ে যেই বন্ধু বা আত্মীয় আপনার কাছ থেকে টাকার সাহায্য চেয়েছে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত না করা অবধি টাকা পেমেন্ট করা উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক ভাবে বা অন্য কোনও ভাবে যোগাযোগ করে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করা উচিত।