দেশের সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখতে সাইবার ক্রাইমের আদালত বেশি করে হওয়া উচিত, এটি কম থাকায় পুলিশের খুব সমস্যা হচ্ছে। সাইবার ক্রাইম আদালত কম থাকায় সঠিক সময়ে বিচার হচ্ছে না, মামলার সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের আয়োজনে বুধবার রাতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত ‘সেইফ ইন্টারনেট’ সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে এমনটাই আহ্বান জানান বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য যে শিক্ষা ও সচেতনতা দরকার এইটা আমরা গড়ে তুলতে পারিনি। আমাদের ডিজিটাল জগতটা বড় হয়েছে কিন্ত তাদেরকে আমরা এ জ্ঞানটুকু দিতে পারিনি। যে কেমনে করে ডিজিটাল জগতে নিজেকে নিরাপদ রাখা যাবে এবং ব্যবহার করতে হবে।
আমাদের পুলিশ বাহিনীকে আকাশচুম্বী উন্নতি করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সামনের অপরাধের দুনিয়াটাও ডিজিটাল অপরাধের দুনিয়া। পুলিশের যদি ডিজিটাল অপরাধ দমন করার দক্ষতা না থাকে তাহলে কেমন করে তারা জনগনকে নিরাপত্তা দিবে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান আরো বলেন, কারো বাসায় ইন্টারনেট দিতে গেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের উচিত গ্রাহককে জিজ্ঞাসা করা তাদের বাসায় ছেলে-মেয়ে আছে কিনা থাকলে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ডিভাইসটা ফ্রিতে তাদের দেয়া উচিত। কিন্ত তারা এ দায়িত্ব ঠিক মত পালন করছে না।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির মহাসচিব মনিরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর অনুষ্ঠানে ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতার গুরুত্ব তুলে বলেন, সচেতনতাই পারে তথ্য-প্রযুক্তির জগতকে সুন্দর ও নিরপাদ রাখতে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যদি সচতেন হয় তাহলে সুন্দর ইন্টারনেট জগত গড়ে উঠবে।
দেশের প্রয়োজনে অ্যাপের সার্ভিস বন্ধ রাখা হলেও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ভিপিএন ব্যবহার করে ঠিকই অ্যাপসগুলো ব্যবহার করছে, তাই এখুনি সময় ভিপিএন সার্ভিসকে নিয়ন্ত্রণে আনা, এমনটি মনে করেন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম।
সুরক্ষিত ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরির আহ্বান জানান একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু।
অনুষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তিবিদ ও ফাইবার অ্যাট হোম-এর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ইন্টারনেটে শিশুদের সেইফ রাখা কোনো প্রযুক্তি দিয়েই সম্ভব না, যদি না আমাদের অভিভাবক সচেতন হয়।
রুবাইয়াত সারোয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্যে রাখেন, বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ, , টেলিটকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. সাহাব উদ্দিন এবং বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান।