ঈদ উপলক্ষে মটোরোলা বাজারে আনছে মটো জি৩১। এর একটি ৪ জিবি র্যা্ম এবং ৬৪ জিবি রম। ফোনটির দাম ১৮ হাজার ৯৯৯ টাকা। অপর ভ্যারিয়েন্ট ৬ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি রমের দাম ২১ হাজার ৯৯৯ টাকা।গেমিংয়ের জন্য বেস্ট ফোন, এমনই বলছেন কোম্পানিটি। কী কী রয়েছে ফোনটিতে? জানুন বিস্তারিত...
নতুন মটো জি৩১ ফোনে খুব বেশি পরিবর্তন দেখা না গেলেও মটো জি৩০ এর থেকে কী কী পরিবর্তন হল? দেখে নিন। মটো জি৩১ এর ডিজাইন খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। থাকছে পলিকার্বোনেট ইউনিবডি ডিজাইন। মটো জি৩০ তে ডাস্ট ও ওয়াটার রেসিস্ট্যান্ট সার্টিফিকেশন থাকলেও মটো জি৩১ ফোনে শুধুমাত্র ওয়াটার রেসিস্ট্যান্ট সার্টিফিকেশন দিয়েছে মটোরোলা। ফোনের নীচে রয়েছে এই ফোনের একমাত্র স্পিকার। এর পাশেই রয়েছে প্রাইমারি মাইক্রোফোন, ও ইউএসবি-সি পোর্ট। মটো জি৩১ এ রয়েছে একটি অ্যামোলেড ডিসপ্লে। যা এই ফোনকে আধুনিক লুক দেয়। ডিসপ্লের উপরে ও দুই পাশে তুলনামূলক পাতলা বেজেল থাকলেও ডিসপ্লের নীচে থাকছে চওড়া বেজেল।
তবে এই ফোনের বাটনগুলি অনেকটা উপরে থাকার কারণে এক হাতে এই ফোন ব্যবহার খুব কঠিন হয়ে যায়। প্রায় ডান দিকে উপরের কোনায় রয়েছে গুগল এসিস্ট্যান্ট বাটন, যেখানে হাত পৌঁছতে খুব সমস্যা হবে। এত উপরে থাকার কারণে খুব কম মানুষ এই বাটন ব্যবহার করবেন। মটো জি৩১ তে কোন থার্ড পার্টি অ্যাপ ইনস্টল থাকবে না। তবে সাউন্ড অভিজ্ঞতা ভালো করার জন্য রয়েছে একটি ডলবি অ্যাটমস অ্যাপ। এর নীচে ভালো স্পিকার ব্যবহার হলেও তা স্টেরিও স্পিকারের মতো ইমার্সিভ অভিজ্ঞতা দেয় না।
সাধারণ একটি বাজেট স্মার্টফোনের মতোই গেমিং অভিজ্ঞতা দেবে মটো জি৩১। এই ফোনে প্রায় সব গেম লো গ্রাফিক্সে খেলা যাবে। Call of Duty: Mobile খেলার সময় কিছু ফ্রেম ড্রপ দেখা গিয়েছে। লো গ্রাফিক্স ও মিডিয়াম ফ্রেম রেটে এই গেম খেলা গিয়েছে। এছাড়াও ডিফল্ট গ্রাফিক্সে খেলা গিয়েছে Asphalt 9: Legends। ৩০ মিনিট একটানা গেম খেলার পরে ফোন গরম হয়ে গিয়েছিল। দৈনন্দিন ব্যবহারের সঙ্গেই টুকটাক ব্যবহারের জন্য আদর্শ এই স্মার্টফোন।
মটো জি৩০ এর পিছনে চারটি ক্যামেরা থাকলেও মটো জি৩১ এর পিছনে থাকছে তিনটি ক্যামেরা। মটো জি৩১ এর 8 MP আলট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরার মাধ্যমেই ডেপ্ত সেন্সিং করে নতুন স্মার্টফোন। ফলে এই ফোনে পৃথক ডেপ্ত সেন্সরের প্রয়োজন হয়নি। এই ফোনের প্রাইমারি ক্যামেরায় রয়েছে 50 MP সেন্সর। এছাড়াও জি৩১ এ রয়েছে একটি 2 MP ম্যাক্রো ক্যামেরা। সেলফি তোলার জন্য এই ফোনে একটি 13 MP ক্যামেরা দিয়েছে মটোরোলা।
এই ফোনেও কোম্পানির অন্যান্য ফোনের মতোই সহজ ক্যামেরা অ্যাপ ইন্টারফেস দেখা যাবে। ক্যামেরার বেশিরভাগ অপশন গিয়ার আইকনের মধ্যে পাওয়া যাবে। তবে ক্যামেরা অ্যাপে ভিডিও রেকর্ডিং রেজোলিউশন সিলেক্ট করার অপশন পাওয়া যায় না।
দিনের বেলায় এই ক্যামেরায় তোলা ছবিতে দারুণ ডাইনামিক রেঞ্জ পাওয়া যায়। তবে বেশি ডাইনামিক রেঞ্জের জন্য অনেক ছবি অস্বাভাবিক দেখতে লাগে। একই কারণে ছবি যে সব অংশে আলো কম রয়েছে সেখানেও ভালো ডিটেল পাওয়া যায়। তবে আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরায় তোলা ছবি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওভার এক্সপোজ হয়ে যাবে। এছাড়াও ব্যারেল ডিসটর্শানের কারণে ছবির বেশিভাগ অংশ ব্লারি মনে হবে।
কাছের জিনিসের ছবি তোলার সময় অটো-ফোকাস লকিং খুব ধীরে কাজ করেছে। এই ফোনে তোলা ম্যাক্রো ছবিতে খুব ভালো ডিটেল পাওয়া যায়নি। তবে প্রাইমারি ক্যামেরায় শার্প রেজাল্ট পাওয়া যাবে।
কম আলোতে পোট্রেট মোড কখনই কাজ করবে না। কম আলোতে তোলা ভিডিওতেও কোন ডিটেল দেখা যাবে না।