ঢাকা | শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ |
২৯ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

স্মার্টফোনের অতিরিক্ত নেট খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ

স্মার্টফোনের অতিরিক্ত নেট খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ
স্মার্টফোনের অতিরিক্ত নেট খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ

গত কয়েক দশকে মানবজীবনের অন্যতম অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে স্মার্টফোন। বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনের অধিকাংশ কাজই স্মার্টফোনকেন্দ্রিক। আর এসব কাজের মধ্যে অনেক কিছুই অনলাইনকেন্দ্রিক। ওয়াই-ফাই থাকলে অনলাইনে কাজ করতে ডাটা ব্যবহার করতে হয় না, কিন্তু সেটি না থাকলে ডাটা প্যাকেজ ব্যবহার করতে হয়। আর এটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই ব্যয়বহুল।

স্মার্টফোনে ডাটা ব্যবহারেও বিভিন্ন ভোগান্তি পোহাতে হয়। যার মধ্যে অতিরিক্ত ডাটা ব্যবহার অন্যতম। ডিভাইসে থাকা বিভিন্ন অ্যাপই ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা ব্যবহার করে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেসব অ্যাপ বেশি ডাটা ব্যবহার করে থাকে এগুলোর অধিকাংশই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ।

ইনস্টাগ্রাম: ছবি শেয়ারিংয়ে ইনস্টাগ্রাম জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রথম বাজারে আসার পর থেকে এতে এখনো বেশকিছু আকর্ষণীয় ফিচার রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে মিডিয়ায় বেশি মনোযোগ দেয়া, ভালো রেজল্যুশনের ছবি-ভিডিও আপলোড ও ফিল্টার ব্যবহারের সুবিধা। এসব কারণে প্লাটফর্মটি বেশি ইন্টারনেট বা ডাটা ব্যবহার করে থাকে।

টিকটক: কনটেন্ট নির্মাণের দিক থেকে শর্ট ভিডিও বাজারে বড় অংশ দখলে রেখেছে। এদিক থেকে শীর্ষে রয়েছে টিকটক। ইউটিউব থেকে শুরু করে ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাটের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেকটাই এগিয়ে এ প্লাটফর্ম। ইনস্টাগ্রামের পাশাপাশি এখানেও বিভিন্ন ফিচার ও সুবিধা রয়েছে। যে কারণে এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা ব্যবহার করে।

ইউটিউব: ইউটিউবে প্রতি মিনিটে ৫০০ ঘণ্টার বেশি সময়ের ভিডিও আপলোড করা হয়। প্রতিনিয়ত এখানে খাবার থেকে শুরু করে অটোমোবাইল, প্রযুক্তি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ের ভিডিও আপলোড হতে থাকে। অনুসারী বা ব্যবহারকারীরাও অতিরিক্ত ডাটা ব্যবহার করে এসব কনটেন্ট দেখে থাকে। কোনো ভিডিও দেখার জন্যও প্লাটফর্মটি ডাটা ব্যবহার করতে থাকে।

নেটফ্লিক্স: ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম হলেও নেটফ্লিক্স বিভিন্ন দিক থেকে ইউটিউবের তুলনায় এগিয়ে। এখানে চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে টিভি সিরিজ, কার্টুন, অ্যানিমেটেড ফিল্ম দেখা ও গেম খেলা যায়। এসব সুবিধার পাশাপাশি ডাটা ব্যবহারেও প্লাটফর্মটি এগিয়ে। সাধারণ পর্যায়ে নেটফ্লিক্সের ভিডিও ঘণ্টায় ১ গিগাবাইট পর্যন্ত ডাটা খরচ করে থাকে। গুগল ক্রোম: অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস দুই প্লাটফর্মেই গুগল ক্রোম ব্যবহার করা যায়। প্রতিনিয়ত আপডেটের মাধ্যমে ব্রাউজারে একাধিক ফিচার যুক্ত করা হচ্ছে এবং এর মাধ্যমে ব্রাউজারের ডাটা ব্যবহারও বাড়ছে। এছাড়া এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে এবং ডাটা ব্যবহার করে।

স্ন্যাপচ্যাট: ২০১১ সালে প্রথম প্রকাশ্যে আসে স্ন্যাপচ্যাট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব আলাদা সুবিধা ও ফিচারের মাধ্যমে স্ন্যাপচ্যাট আলাদা অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়। একাধিক ফিল্টার ব্যবহারের সুবিধা থাকাও এ অ্যাপটিও ডাটা বেশি ব্যয়ে করে। এছাড়া স্টোরি ও স্ন্যাপ লোডের জন্য অ্যাপটি ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে।

ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার ও স্পটিফাই: সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যমে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার ও স্পটিফাইও ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা ব্যবহার করে থাকে। ফিড, স্টোরি, হোয়াটসঅ্যাপ ও টুইটারও ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা ব্যবহার করে। হোয়াটসঅ্যাপে শুধু মেসেজ দেয়া হয় তা নয়, ছবি-ভিডিও পাঠানোর জন্য ডাটার প্রয়োজন হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ,স্মার্টফোন,অতিরিক্ত নেট
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend