মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সার্ভিস চার্জ ও সেন্ড মানিতে গ্রাহক হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। একইসঙ্গে অ্যাপসে ক্যাশব্যাক দেওয়াকে ‘প্রলোভন’ আখ্যা দিয়ে এই খাতে ডিজিটাল প্রতারণা, গ্রাহক হয়রানি ও গ্রাহকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চার্জ কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছি। সরকারি অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বাজার প্রতিযোগিতার লক্ষ্যে সার্ভিস চার্জ কমিয়ে আনলে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সার্ভিস চার্জ কমায়। তবে তাদের শর্তের বেড়াজালে গ্রাহকরা কম চার্জের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তারা বলেন, এই শর্তের বেড়াজাল প্রত্যাহার করে সার্ভিস চার্জ আরও কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে আনার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশনা ছিল সেন্ড মানিতে অর্থ আদায় করা যাবে না। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি এ নির্দেশনা চলার সময় ও গ্রাহকদের কাছ থেকে সেন্ড মানি আদায় করা হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, অ্যাপসে ক্যাশব্যাক দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হলেও ক্যাশব্যাকের অর্থ তাদের নির্দিষ্ট সেবা খাতে ব্যয় না করলে এই ক্যাশব্যাক অফার কোনো প্রকার উপকারে আসে না গ্রাহকের। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের কাছে দাবি জানাতে চাই— সরকারের যে লক্ষ্যমাত্রা ক্যাশলেস বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং প্রান্তিক পর্যায়ে গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া তা বাস্তবায়ন করতে হলে এই সেবা খাতে সার্ভিস চার্জ আরও কমিয়ে এনে ডিজিটাল প্রতারণা, গ্রাহক হয়রানি ও গ্রাহকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন— সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, কর্মসংস্থান আন্দোলনের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ডাক্তার আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
এদিকে নষ্ট মোবাইল হ্যান্ডসেট মেরামত করে বাজারজাত এর অনুমতি দিলে গ্রাহকরা প্রতারিত হবে দাবি করে দেয়া এক বিবৃতিতে সংগঠনটির পক্ষে বলা হয়েছে, গুদামে পড়ে থাকা ও বাজার থেকে ফেরত আসা নষ্ট মোবাইল হ্যান্ডসেট মেরামত করে পুনরায় বাজারজাত করার অনুমতি দিলে গ্রাহকরা অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত হুমকির মুখে পড়বে।