চিপ সংকট নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেছে স্যামসাং। এই সংকটের ফলে বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে গুরুতর ভারসাম্যহীনতা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বের অন্যতম এই স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
এই সংকটের কারণে পরবর্তী গ্যালাক্সি নোট সিরিজ বাজারে আনার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে পারে স্যামসাং। তাদের মতে, চিপের ঘাটতির কারণে করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সুযোগ বাধাগ্রস্ত করতে পারে। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন সরকার এর উৎপাদন বাড়ানোর দিকে জোর দিচ্ছে।
স্যামসাংয়ের সহ-প্রধান নির্বাহী এবং মোবাইল চিফ কোহ দং-জিন শেয়ারহোল্ডারের এক সভায় বলেন, “বিশ্বব্যাপী তথ্য-প্রযুক্তি সেক্টরে চাহিদার তুলনায় চিপ সরবরাহ খুবই ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থা কাটাতে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে সংকট শতভাগ পূরণ করা যাবে কিনা, সেটা বলা মুশকিল!” এ ধরনের সমস্যার সমাধানে ইতোপূর্বে বিদেশি অংশীদারের সঙ্গে স্যামসাং কাজ করেছে বলেও জানান তিনি।
চিপ হচ্ছে স্মার্টফোন ও কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বিশ্বের প্রধান চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে কোয়ালকম, মিডিয়াটেক, স্যামসাং, হিসিলিকন ইত্যাদি।
স্মার্টফোনের চিপ ও অন্যান্য যন্ত্রাংশের সংকট শুরু গত বছর করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে। ওই সময় বেঁচাকেনা কমে যাওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠান চিপ নির্মাতা চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে দেয়া অর্ডার বাতিল করে। তখন প্রতিষ্ঠানগুলো চিপের বদলে অন্য যেসব যন্ত্রাংশের চাহিদা আছে, সেগুলোর দিকে মনযোগ দিতে শুরু করে। তখন থেকেই চিপ সংকটের শুরু। এই সংকটের নেতিবাচক প্রভাব সব স্মার্টফোন নির্মাতার ওপরেই পড়বে।