ঢাকা | শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ |
১৯ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

সারাদেশ ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে : প্রধানমন্ত্রী

সারাদেশ ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে : প্রধানমন্ত্রী
সারাদেশ ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে : প্রধানমন্ত্রী

সারাদেশ ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সারাদেশে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্রন্ডব্যান্ড লাইন ১, ২, ৩ আমরা চালু করতে যাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনের সমাপ্তি দিনের ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। নিজের বক্তব্যের মধ্যে ২৮ অক্টোবর পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার একটি ভিডিও চিত্র সংসদে দেখান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিডিও চিত্র প্রদর্শনের পর তিনি বলেন, ‘কোন বাংলাদেশ আমরা চাই? দিনরাত পরিশ্রম করে মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে যে বাংলাদেশ আমরা উন্নত করেছি, বলেছিলাম দিনবদলের সনদ। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে’।

সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবের যে স্বপ্ন- ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ; সেই উন্নত বাংলাদেশ, সোনার বাংলাদেশ, গড়া আমাদের লক্ষ্য। আমরা আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ লক্ষ্য সামনে রেখেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে দিয়েছি। সেটা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।

এসময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক টেবিল চাপড়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করেন।

সংসদে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে বাংলাদেশ আমরা উন্নত করেছি, বলেছিলাম দিন বদলের সনদ, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এবার সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে ফ্রিল্যান্সারসহ বেসরকারি খাতের পেশাদারদে আর কারো ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না। ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দিয়েছি। কারো এখন বেকার থাকার সুযোগ নেই। আমরা টাকা পে তৈরি করে দিয়েছি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের সংলাপের সম্ভাবনা আবারও নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এই সন্ত্রাসী, জঙ্গি, এ অমানুষগুলো, এদের সঙ্গে কারা থাকে, আর তাদের সঙ্গে বসা? এই জানোয়ারদের সঙ্গে বসার কথা কারা বলে? আমার কথা হচ্ছে, জানোয়ারদেরও একটা ধর্ম আছে। ওদের সে ধর্মও নাই। ওদের মধ্যে কোনো মনুষ্যত্ববোধ নেই। ওরা চুরি, লুণ্ঠন, দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন ছাড়া কিছুই জানে না।’

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করায় মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবারই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৯০ দিনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ তিন মাসে আর অধিবেশন বসছে না। সংবিধান অনুযায়ী, ৬০ দিনের মধ্যে অধিবেশন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা থাকলেও সংসদ নির্বাচনের স্বার্থে মেয়াদের শেষ ৯০ দিনের ক্ষেত্রে এই বিধান শিথিল করা হয়েছে।

ওয়াইফাই,নেটওয়ার্ক,প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend