ঢাকা | মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ |
২০ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

বিটিসিএলকে কঠিন পরীক্ষায় ফেললেন পলক

বিটিসিএলকে কঠিন পরীক্ষায় ফেললেন পলক
বিটিসিএলকে কঠিন পরীক্ষায় ফেললেন পলক

বিটিসিএলের আদ্যোপান্ত জানতে চেয়ে কোম্পানিকে লাভে যাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বুধবার বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড বা বিটিসিএলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভায় তিনি কোম্পানিকে ঢেলে সাজানোর কথা বলেছেন।

পলক বলেন, বর্তমান অর্থবছরের যে সময়টুকু আছে সেই সময়ের ভেতরে বিটিসিএলকে প্রফিটে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। সরকারের বিনিয়োগ এবং বিটিসিএলের জনবলের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। বিটিসিএল’কে লাভজনক করার জন্য আমাদের সকলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। স্বল্প সম্পদ এবং জনবলের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের বাৎসরিক অডিট রিপোর্ট আমি দেখবো, আর যদি না থেকে থাকে তাহলে করতে হবে, পাশাপাশি অডিট রিপোর্ট কারা করছে তাদের ক্রেডিবিলিটি আমাদের খেয়াল করতে হবে। সাথে সাথে এক্সটার্নাল আইটি অডিট করতে হবে, এটা যদি থাকে তাহলে আমাকে দেখাবেন, আর যদি না থাকে তাহলে সেটাকে খুব দ্রুত করতে হবে। সাথে সাথে ইন্টারনাল একটা অডিট করতে হবে, যেটা কোথাও প্রকাশিত হবে না, কিন্তু আমি দেখবো। আমাদের বোর্ড কম্পোজিশনের বাইরে যদি আউটসোর্স করার কোনো সুযোগ থাকে তাহলে সেটা আমরা করবো। কারণ, লিডারশিপ ম্যাটার্স, রাইট লিডারশিপ না থাকলে কোনো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান বা দেশ এগিয়ে যেতে পারে না।

প্রতিমন্ত্রী বিটিসিএলের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল প্রকার জনবলের পরিসংখ্যান চান। তিনি বলেন, আমাকে বিভিন্ন বিভাগের সর্বশেষ কর্পোরেট স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান থেকে থাকলে আমাকে দেবেন, আর না থেকে থাকলে সেটা প্রস্তুত করবেন, কে তৈরি করেছে বা করবে সেটাও আমি দেখবো। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সংস্থার মতো অ্যানুয়াল পারফরমেন্স অ্যাগ্রিমেন্ট যদি আপনাদের থাকে তাহলে আমাকে দেখাবেন, যদি না থাকে তাহলে সেটা করতে হবে।

পলক বলেন, আমি আজ বিটিসিএলের লিডিং রেভিনিউ সোর্স কোনটা সেটা জানতে চাই এবং গত পাঁচ বছরে এটার ট্রেন্ড কি ছিলো সেটা জানাতে হবে। সাথে সাথে ব্যয়ের খাত এবং গত পাঁচ বছরের ব্যয়ের ট্রেন্ড আমাকে জানাতে হবে। আগামী পাঁচ মাসে আমরা কোথায় সার্ভিস ডেলিভারি বাড়াবো, এবং কোথায় ব্যয় কমাবো, কোথায় মড়া ডাল কেটে ফেলবো সেটা নির্ভর করবে এইসব রিপোর্টের উপর। ক্যান্সার আক্রান্ত একটি আঙ্গুলকে বাঁচাতে গিয়ে আমি জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না। যখন আমি গত পাঁচ বছরের আয়-ব্যয়ের ট্রেন্ড ধরতে পারবো তখন অপচয় থামানোর দিকে মনোযোগ দিতে পারবো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট গভর্নমেন্ট গড়তে চাচ্ছি, সেখানে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ডেটা ড্রিভেন ডিসিশন মেকিংকে উৎসাহিত করা। বিটিসিএলের কোনো কিছু কারও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে, আবেগতাড়িত হয়ে, কোনো গোষ্ঠী বা সিন্ডিকেটের প্রভাবে হবে না, বিটিসিএলে তাই-ই হবে যেটা দেশের মানুষের জন্য ভালো এবং অপচয় রোধ করে সেবার মান বাড়ানো যাবে। সময়, অর্থ, ব্যয় রোধ করে সেবার মান বৃদ্ধি করাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।

বিটিসিএল,কঠিন পরীক্ষা,পলক,জুনাইদ আহমেদ পলক
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend