ঢাকা | বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ |
৩৬ °সে
|
বাংলা কনভার্টার
walton

এরিকসন মোবিলিটি রিপোর্ট

বছর শেষে ফাইভজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৫০ কোটিরও বেশি

বছর শেষে ফাইভজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৫০ কোটিরও বেশি
বছর শেষে ফাইভজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৫০ কোটিরও বেশি

এরিকসনের ধারণা অনুযায়ী, প্রতিদিন আনুমানিক ১০ লাখ নতুন গ্রাহক বাড়ার মাধ্যমে ২০২১ সালের শেষে ফাইভজি মোবাইল গ্রাহক ৫৮ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

এরিকসন মোবিলিটি প্রতিবেদনের ২০তম সংস্করণের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ফাইভজি ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুত গ্রাহক বৃদ্ধি পাওয়া মোবাইল জেনারেশন হতে যাচ্ছে। প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়, ২০২৬ সালের শেষে ফাইভজি গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৫০ কোটিতে, যা হবে মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ।

তবে, ফাইভজি প্রযুক্তি গ্রহণ করারা প্রবণতা অঞ্চল অনুসারে ভিন্ন। এক্ষেত্রে, ইউরোপের দেশগুলো ধীরগতিতে এগুচ্ছে। ফাইভজি সম্প্রসারনের দৌড়ে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া, জাপান ও গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে আছে ইউরোপ।

আশা করা হচ্ছে, ফাইভজি নেটওয়ার্ক ফোরজি এলটিই’র সময়সীমার দুই বছর আগেই শতাধিক কোটি গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করবে। এর পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে, শুরু থেকেই ফাইভজি উন্নয়ন ও বিকাশে চীনের প্রতিশ্রুতি এবং বাণিজ্যিক ফাইভজি ডিভাইসের সহজলভ্যতা এবং ক্রমবর্ধমান সাশ্রয়ী মূল্য। ৩শ’র বেশি ফাজভজি স্মার্টফোন মডেল ইতিমধ্যেই বাণিজ্যিকভাবে উন্মোচন করা হয়েছে বা উন্মোচনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

করোনার বৈশ্বিক মহামারি পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কানেক্টিভিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, আর এর ওপর ভিত্তি করেই আগামী বছরগুলোতে বাণিজ্যিক ফাইভজি’র সম্প্রসারণ ঘটবে।

ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর পূর্ব এশিয়া হবে ফাইভজি গ্রাহকের সবচেয়ে বড় অঞ্চল। ২০২৬ সালের মধ্যে এই অঞ্চলে আনুমানিক ১৪০ কোটি ফাইভজি গ্রাহক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, উত্তর আমেরিকা ও জিসিসি অঞ্চলের বাজার নিয়ে ভাবা হচ্ছে, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারী এ অঞ্চল থেকে ফাইভজি সেবা ব্যবহার শুরু করবে, যেখানে যথাক্রমে সমন্বিতভাবে ফাইভজি গ্রাহক হবে ৮৪ শতাংশ এবং পুরো অঞ্চলের মোবাইলে সেবা ব্যবহারকারী হবে ৭৩ শতাংশ।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলে মোট মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২০ কোটি ছাড়িয়েছে, যেখানে ফাইভজি গ্রাহকের সংখ্যা ২০ লাখের কিছু কম। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে ফাইভজি ব্যবহারের সংখ্যা দ্রুতহারে বৃদ্ধি পাবে, যা ২০২৬ নাগাদ আনুমানিক ৪০ কোটিতে। এ অঞ্চলে প্রতি স্মার্টফোনে ডাটা ব্যবহারের মাত্রা বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি হবে। ২০২৬ নাগাদ প্রতি মাসে একেকটি স্মার্টফোনে ৩৯ জিবি করে ডাটা ব্যবহৃত হবে, যা বার্ষিক বৃদ্ধির হারের (সিএজিআর) ৩৬ শতাংশ। ৪২ শতাংশ সিএজিআর নিয়ে সে অনুযায়ী বাড়বে মোবাইল ডেটা ট্রাফিক। ফোরজি ব্যবহার এবং ফাইভজি’র কারণে প্রতি স্মার্টফোনে ডেটা ব্যবহার বাড়বে ৩৯ইবি পর্যন্ত।

এরিকসন বাংলাদেশের প্রধান আব্দুস সালাম বলেন, ‘বাংলাদেশের ডিজিটাল যুগে প্রত্যাবর্তনের মূলে রয়েছে মোবাইল প্রযুক্তি। ডিজিটাল ব্যবস্থার উন্নয়নে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে, বিদ্যমান মোবাইল প্রযুক্তিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে ফাইভজি নেটওয়ার্ক সেবা। এর মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান ডেটা চাহিদা পূরণ করবে এবং সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যাবে দ্রুতগতির ইন্টারনেট। এই সুবিধাগুলো নতুন নতুন উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যকেও আরও ত্বরান্বিত করবে।’

স্মার্টফোন এবং ভিডিও’র কারণে বাড়ছে মোবাইল ডেটার ব্যবহার

প্রতিবছর ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ বেড়ে চলছে। এক এক্সবাইট (ইবি) হচ্ছে ১,০০০,০০০,০০০ (১০০ কোটি) গিগাবাইট (জিবি)। ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাক্সেসের (এফডব্লিউএ) মাধ্যমে ব্যবহার ছাড়া বৈশ্বিক মোবাইল ডাটা ট্র্যাফিক ২০২০ -এর শেষে মাসে ৪৯ ইবি ছাড়িয়েছে; এবং ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৬ এর শেষ নাগাদ এই ট্র্যাফিক প্রায় ৫ গুনের কাছাকাছি বেড়ে প্রতিমাসে হবে ২৩৭ ইবি। বর্তমানে ডেটার ৯৫ শতাংশ ব্যবহার করা হয় স্মার্টফোনের মাধ্যমে, যা আরও বাড়ছে, ছাড়িয়ে যাবে আগের সব রেকর্ড। বর্তমানে, মাসে ১০ জিবি ডেটা ব্যবহার করা স্মার্টফোনে, ডাটা ব্যবহার ২০২৬ এর শেষের দিকে পৌছাবে মাসে ৩৫ জিবি।

ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস ব্যবহারে ফাইভজি কমিউনিকেশন সেবাদানকারীরা সবার শীর্ষে

কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারি ডিজিটালাইজেশন ও দ্রুতগতির নির্ভরযোগ্য মোবাইল ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটির গুরুত্বকে আরও সামনে নিয়ে এসেছে। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ১০ জনে ৯ জন কমিউনিকেশন সার্ভিস প্রোভাইডাররা (সিএসপি) ফাইভজি উন্মোচন করেছে এবং ফোরজি অথবা ফাইভজি সমৃদ্ধ ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস (এফডব্লিউএ) সরবরাহ করে যেখানে উচ্চ ফাইবার পেনেট্রেশনও থাকে। ক্রমবর্ধমান এফডব্লিউএ ট্র্যাফিকের সমন্বয় করা প্রয়োজন। প্রতিবেদনে ধারণা করা হচ্ছে, এর ব্যবহার ২০২৬ -এ বেড়ে হবে ৬৪ইবি।

ক্রমবর্ধমান হারে আইওটি ব্যবহার

ধারণা করা হচ্ছে, ম্যাসিভ আইওটি প্রযুক্তি এনবি-আইওটি ও কাট-এম সংযোগগুলো ২০২১ সালের মাঝে ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং প্রায় ৩৩০ মিলিয়ন সংযোগ পর্যন্ত পৌছাবে। আশা করা যায়, ২০২৬ সালের মধ্যে সকল সেলুলার আইওটি সংযোগের প্রায় ৪৬ শতাংশ হবে এই প্রযুক্তি।

দ্যা গালফ কর্পোরেশন কাউন্সিল:

প্রতিবেদনে জিসিসির বাজারগুলোর পরিসংখ্যান রয়েছে। যেখানে দেখানো হয়েছে সরকারি স্পনসরে ডিজিটাল উদ্যোগগুলো প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং প্রত্যাশিত ফাইভজি উন্নীতকরণ উভয়কেই ত্বরান্বিত করছে। ২০১৯ সালে জিসিসি’র বাজারগুলো সারাবিশ্বে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি উন্মোচন করে। আশা করা যায়, আগামী ২০২৬ -এর মধ্যে এই অঞ্চলে যৌথভাবে ৬২ মিলিয়ন ফাইভজি সাবস্ক্রিপশন হবে, যা বিশ্বব্যাপী অঞ্চলগুলোর মধ্যে ফাইভজি নেটওয়ার্কে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ২য় সর্বোচ্চ।

ফাইভজি,৫০ কোটি,এরিকসন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Transcend
Vention