বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানের হিসাবধারীদের মধ্যে আন্তঃলেনদেনের ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানানো হয়েছে। এটা হলে মানুষের জীবন আরও সহজ হবে।
টেলিযোগাযোগ খাতের সংবাদ সংগ্রহে থাকা সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘ভাতা বিতরণে মোবাইল প্রযুক্তি: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিশ্চয়তা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে শনিবার এসব কথা বলেন আলোচকরা।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, কাগজের মুদ্রাকে আমরা ভবিষ্যতে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে দেখতে চাই না। আমাদের লক্ষ্য ‘ক্যাশলেস’ সমাজের দিকে যাওয়া।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এমএফএস সেবাদাতাদের মধ্যে আন্তঃলেনদেন চালু করলে এই সেবা আরও গ্রহণযোগ্যতা পাবে।
আন্তঃলেনদেন চালু হলে বিকাশের হিসাবধারী রকেট ও নগদে টাকা পাঠাতে পারবেন। আবার রকেট ও নগদের মতো এমএফএসের হিসাবধারীরা বিকাশে টাকা পাঠাতে পারবেন। এই আন্তঃলেনদেন গত বছরের অক্টোবরে চালুর কথা ছিল। তবে তা প্রস্তুতির অভাবে পিছিয়েছে। অবশ্য ব্যবস্থাটি চালুর জন্য কাজ চলছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশের মধ্যে যারা ডিজিটাল ব্যবস্থার বিষয়ে তেমন কিছু বোঝেন না, তাদের কাছেও ডিজিটাল সেবা পৌঁছে গেছে। এটি একটি মাইলফলক।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমাদের প্রতি নির্দেশনা ছিল, আমরা যেন নির্বিঘ্নে সমাজিক নিরাপত্তা ভাতা দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারি। তার জন্য আমরা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মতো প্রযুক্তি গ্রহণ করি, যাতে ঘরে বসেই মানুষ তাদের ভাতা পেয়ে যান।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংগঠন বেসিসের সভাপতি আলমাস কবির বলেন, এমএফএস সেবাকে আরও তরান্বিত করতে আন্তঃলেনদেনের ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন।
নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, আর্থিক খাতের ডিজিটালাইজেশন না করা গেলে ডিজিটাল বাংলাদেশের সামগ্রিক লক্ষ্য অর্জিত হবে না। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে আর্থিক আওতায় না আনা গেলেও লক্ষ্য পূরণ অসম্ভব হবে।
মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের সাবেক মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবির বলেন, ভবিষ্যতে সব ধরনের লেনদেন ডিজিটাল হয়ে যাবে। তখন আরও বেশি মানুষকে আর্থিক সেবার আওতায় আনা যাবে।