প্রতিষ্ঠার ১০ বছর হয়ে গেলেও এখনো লক্ষ্য-উদ্দেশ্যহীন টেলিটক বাংলাদেশ। উদ্দেশ্য অর্জনের ক্ষেত্রে এই ১০ বছরেও কোনো দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত পরিকল্পনা প্রস্তুত না করায় ক্ষতির মুখে প্রতিষ্ঠানটি। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এই ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে প্রয়োজনীয় সম্ভাব্যতা যাচাই ও বিস্তারিত প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করে টেলিটককে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক মোবাইল ফোন টেলিকমিউনিকেশনে প্রবেশের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টেলিটকের গ্রাহক বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেরও সুপারিশ করা হয়। ক্ষতির কারণ চিহ্নিত করে প্রতিষ্ঠানটিকে আরো বেশি সময়োপযোগী ও কার্যকরী করে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের গ্রাহকসেবা বৃদ্ধি এবং ৫-জি নেটওয়ার্ক চালুর বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সুপারিশও করেছে কমিটি।
ডাক, টেলিযোগাযোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক নিরীক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন টেলিটকের ২০১০-২০১৫ অর্থবছরের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের উপর বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের পারফরমেন্স নিরীক্ষা প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত অডিট আপত্তির বিভিন্ন অনুচ্ছেদের ওপর গতকালের বৈঠকে আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি রুস্তম আলী ফরাজীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য—আবুল কালাম আজাদ, আব্দুস শহীদ, শহীদুজ্জামান সরকার, আহসানুল ইসলাম (টিটু), মুস্তফা লুত্ফুল্লাহ ও ওয়াসিকা আয়শা খান অংশ নেন। ডেপুটি মহাহিসাব রক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, বিটিআরসির কমিশনার, টেলিটকের এমডিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।